আপনজন ডেস্ক: দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এখন প্রতিদিনই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাসা-বাড়ির আঙিনায় কিংবা আনাচেকানাচে জমে থাকা পানিতে এখন দেখা যাচ্ছে এডিস মশার লার্ভা। ফলে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর। ডেঙ্গু রোগটি ভাইরাসজনিত। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। এ সময় তাপমাত্রা ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। জ্বর টানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়। ডেঙ্গু হলে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। আর এ সময় আমাদের খাবারের প্রতিও মনোযোগ দেওয়া উচিত। যেমন: দুগ্ধজাতীয় খাবার, মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, বাদাম ইত্যাদি প্রদিতিন খাওয়া একান্ত জরুরি। তাই চলুন জেনে নিই ডেঙ্গু হলে যেসব খাবেন-
(১) এ সময় প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে পরিচিত হলো পেঁপেপাতার রস। তেতো লাগলেও এই রস ডেঙ্গু মোকাবিলায় ভীষণ উপকারী।
(২) দুগ্ধজাতীয় খাবার প্রোবায়োটিকসের উৎস। দইয়ে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়া আমাদের অন্ত্রের উপকার করে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে দুগ্ধজাত খাবার শরীরে পটাশিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
(৩) প্রোটিনজাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে মুখ্য ভূমিকা নেয়। তাই এই সময় খাবারে মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, বাদাম ইত্যাদি থাকা একান্ত জরুরি।
(৪) ভিটামিন সি ও ফোলেটও প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন: কমলালেবু, পাতিলেবু, জলপাই, আনারস, বেরি ও কিউই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ডেঙ্গু হলে এসব বেশি বেশি খাওয়া উচিত।
(৫) সবুজ শাকসবজি ভিটামিন কে ও আই-এর উৎস। পার্সলে পাতা, পালং শাক, পুদিনা, বাঁধাকপি, শতমূলী ইত্যাদি রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
(৬) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসক কুমড়ো খাওয়ার পরামর্শ দেন। কুমড়ো ভিটামিন এ-এর সমৃদ্ধ উৎস যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
(৭) জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে তরল খাবার খাওয়া তুলনায় সহজ। তাই এই সময় শক্ত খাবারের পরিবর্তে তরল খাবার যেমন মাংসের স্যুপ,দইয়ের লস্যি ইত্যাদি খাওয়ানো উচিত। এ ক্ষেত্রে খাবার দুই-আড়াই ঘণ্টা অন্তর পরিবেশন করা ভালো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct