আপনজন ডেস্ক: লৌহ বা আয়রন আমাদের শরীরের অন্যতম অতি প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। যা লাল রক্ত কোষকে শরীরের মাধ্যমে অক্সিজেন বহন করতে সহায়তা করে। এই খনিজ উপদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এমনকি আপনার শেখার ক্ষমতাকেও বিকশিত করে। আয়রনের ঘাটতি নারীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এক সমস্যা। বেশিরভাগ নারীই জানেন না যে তিনি আয়রন স্বল্পতায় ভোগেন। একটি নতুন সমীক্ষা জানাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নারী ও যুবতীদের বেশিরভাগই এই খনিজের স্বল্পতায় ভোগেন। অ্যান আর্বরের মিশিগান মেডিকেল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণায় অংশ নেওয়া ১২-২১ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে তিন হাজার নারীর আয়রন স্তর পরিমাপ করা হয়। এই গবেষণার ফলাফল আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন, প্রায় ৪০ শতাংশ অংশগ্রহণকারীদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি ছিল।
আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ : শরীরে আয়রনের ঘাটতির বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- মস্তিষ্কের কুয়াশা, ক্লান্তি, হালকা মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। ফ্যাকাশে ত্বকও আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সাধারণ রক্ত পরীক্ষা করেই শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে কি না তা পরিমাপ করা যায়।
আয়রনের ঘাটতি হলে যা হয় : সিডিসি তথ্য অনুসারে, যে শিশুরা আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বা পরিপূরক থেকে পর্যাপ্ত আয়রন পায় না তাদের রক্ত স্বল্পতা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। দীর্ঘদিন ধরে আয়রনের ঘাটতিতে ভুগলে অ্যানিমিয়াসহ বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসকে প্রভাবিত করে এমন জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি সন্তান জন্মের আগে ও পরে মায়ের শরীরে জটিলতা বাড়াতে পারে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার : এনএইচএস ইউকে অনুসারে, শরীরে ইায়রনের ঘাটতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এজন্য গাঢ় সবুজ শাকসবজি, গমের রুটি, মাংস, কলিজা, শুকনো ফল যেমন- এপ্রিকট, প্রুন, কিশমিশ ও ডাল যেমন- মটরশুটি, মটর, মসুর ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এসবের পাশাপাশি চা, কফি, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ কমাতে হবে। এসব পানীয় শরীরের আয়রন শোষণে বাধা দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct