মুহম্মদ ইমরান, মেদিনীপুর, আপনজন: পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে তীব্র সংঘর্ষ, জখম বহু। ভোট লুঠ,শান্তিপূর্ণভাবেই বুথ দখল,ব্যালট বক্স এ আগুন সহ বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী থাকলো পশ্চিম মেদিনীপুর। এদিন প্রার্থী শেখ হসিনুদ্দিনের গ্রামের কংগ্রেস তৃণমূল তীব্র বাদানুবাদ থেকে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলেও, দুপুরবেলায় শুরু অশান্তি। স্কুল হাসপাতাল চত্বর রণক্ষেত্রে এলাকার ধারণ করলো। কেশপুরের উচাহারে কাজী শাহাদাত উচাহার বুথে ছাপ্পা দিতে যায় বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সেই সময় শেখ আরিফ ও শেখ তসলিম নামের দুই কংগ্রেস কর্মী তৃণমূল কর্মীদের বাঁধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কাজী শাহাদাত সহ দুই কংগ্রেস কর্মী আহত হয়। এর পর দুই কংগ্রেস কর্মীকে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করতে এলে পুনরায় তাদের ওপর চড়াও হয় একদল তৃণমূল কর্মী। হাসপাতাল চত্বরেই ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটে। লাঠি নিয়ে চলে মারধোর। এর পর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কাজী শাহাদাত সহ দুই কংগ্রেস কর্মীকে মেদিনীপুর স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও কংগ্রেস কর্মীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, এই উচাহার অঞ্চলে গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন লড়ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনীত প্রার্থী শেখ হসিরুদ্দীন। তবে দিনের শেষে কেশপুর রয়েছে কেশপুরেই, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেলো পঞ্চায়েত ভোটে!। গড়বেতার কাস্টগুড়া ১৩১ নম্বর বুথে তালা লাগিয়ে দেয় বিজেপি। অভিযোগ বুথ দখল করে, ছাপ্পা মারছিলশাসক দল। বিজেপি ও গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে ব্যালট বক্স ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে ভাঙচুর করে। বুথের বাইরে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বিজেপি- তৃণমূল সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা। পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ব্যালট বক্স নিয়ে কাড়াকাড়ি, বন্ধ ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া! উত্তেজনা হয় সবং এর কানাইশোলে। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহন প্রক্রিয়া। দুপুর পেরিয়ে যাওয়ার পর সবংয়ের বিভিন্ন এলাকায় ভোট লুটের অভিযোগ। সবংয়ের কানাইশোলে তার উল্টোচিত্র ৩.৩০ থেকে বন্ধ ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া। বিজেপির অভিযোগ সকাল থেকে ভোট ঠিকঠাক চলছিল ২ টো নাগাদ ব্যালট বক্স নিয়ে পার্টি অফিসে চলে যায় তৃণমূল আশ্রীত দুস্কৃতিরা। যদিও তৃণমূলের দাবী বিজেপির কর্মীরা ব্যালট বক্স নিয়ে যায়। বর্তমানে ভোটগ্রহন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে ওই বুথে। পরে সবং থানার পুলিশ পৌঁছে ব্যালট বক্স উদ্ধার করে। এবং ভোটগ্রহন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন।এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন সবং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামবাসীরা রি পোলিং এর দাবি তুলে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct