কাজী আমীরুল ইসলাম, বোলপুর: ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে যখন দিকে দিকে অশান্তর পরিবেশ। খুন, বোমাবাজি, গুলি চলছে। তখন বীরভূম জেলার অন্য ভোট চিত্র। অনুব্রত হীন বীরভূম কার্যত শান্ত। খা খা করছে অনুব্রতর নিচুপট্টি বাড়ি থেকে তার বোলপুরে জেলা তৃণমূলের প্রধান দলীয় কার্যালয়।
এবার প্রথম নির্বাচনে বীরভূম জেলায় অনুপস্থিত তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার কাণ্ডে তিহার জেলে বন্দি। তার বাড়ি বীরভূমের নিচুপট্টি কার্যত শান্ত। তার দলীয় বোলপুরের জেলা প্রধান তৃণমূল কার্যালয় ফাঁকা। নেই দলীয় কর্মীদের ভিড়। দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না কোন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের।
গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডল মানেই গরম গরম ডায়লগ। কখনো তিনি বলছেন চরাম চরাম ঢাক বাজবে। কখনো তিনি বলতেন খেলা হবে। রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। বিরোধীদের গুড় বাতাসা জল খাওয়ানো হবে।। কার্যত রাজ্যের মানুষের নজর থাকতো বীরভূমে।
কিন্তু ২০২৩ ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন বীরভূমে সেই সমস্ত ছবি উধাও। কর্মীদের প্রিয় কেষ্টদা নেই। নির্বাচনের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতেন অনুব্রত। বাড়িতে শিবের পুজো করে মোটরবাইকে করে ভোট দিতে যেতেন। তার পিছন পিছন থাকতো অসংখ্য সংবাদমাধ্যম কর্মীদের ভিড়। অধিকাংশ বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় লাইভ টেলিকাস্ট। সেসব ছবি এখন ইতিহাস।
বীরভূম জেলার বোলপুরে তৃণমূলের প্রধান দলীয় কার্যালয়। ভোটের দিন কেষ্ট মন্ডল পার্টি অফিসটা কে কন্ট্রোল রুম বানিয়ে দিয়েছিল। কন্ট্রোল রুম থেকেই নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন চলছে? খোঁজখবর নিতে। ঘনঘন ফোন করতো ব্লক, অঞ্চল সভাপতিদের। বুথ সভাপতিদের নির্দেশ দিত ভোট ধীরগতিতে চলছে, হাত চালাও। কোথাও আবার একটু অসুবিধা বুঝলে, ফোনেই ধমক দিত কেষ্ট মন্ডল। সেসব ছবি যেন মুহূর্তের মতো মুছে গেছে বোলপুর থেকে।
অনুব্রত দেখানো পথেই ভোট হচ্ছে। তবে তিনি অনুপস্থিত। তার না থাকা দলীয় সকলে অভাব উপলব্ধি করছি। স্বাভাবিকভাবেই খুব মন খারাপ দলীয় কর্মী থেকে নেতাদের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct