আপনজন ডেস্ক: শরীরের ওজন স্বাভাবিক রয়েছে, নাকি তার তুলনায় কম বা বেশি, তা বোঝার জন্য কিছু পদ্ধতি আছে। শরীরের উচ্চতা ও ওজনের একটা সমীকরণ আছে। এটাকে বলা হয় বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই। ব্যক্তির ওজন কিলোগ্রামে মাপা হয় এবং উচ্চতা মাপা হয় মিটারে। ওজনকে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করে বিএমআই বের করা হয়। এই সমীকরণ দিয়ে উচ্চতা ও ওজনের ভিত্তিতে শরীরে থাকা চর্বি পরিমাপ করা যায়। সেই সমীকরণ থেকেই জানা যায় শরীর স্থূলকায়, কৃশকায় নাকি স্বাভাবিক। কারো বিএমআই ১৮ দশমিক ৫-এর নিচে থাকলে তাকে আন্ডারওয়েট বা কম ওজনের ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। এরপর যাদের বিএমআই ১৮ দশমিক ৫ থেকে ২২ দশমিক ৯ পর্যন্ত, তাদের বলা হয় স্বাভাবিক ওজনের অধিকারী। আর যাদের বিএমআই ২৩ থেকে সাড়ে ২৭, বলা হয় তারা ওভারওয়েট বা ওজনাধিক্যের শিকার। এরপরের ধাপটা হচ্ছে স্থূলতা। ওভারওয়েটই স্থূলতার দিকে যাত্রা। ব্যক্তির বিএমআই সাড়ে সাতাশের ওপরে হলে বলা হয় টিপিক্যাল ওবেসিটি। আর এটি যখন ত্রিশের ওপরে যায় তখন বলা হয় মরবিড ওবেসিটি। যদিও শিশুদের ক্ষেত্রে বিএমআইয়ের এ হিসাব এত বেশি প্রযোজ্য হবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ও ওজনের একটা আইডিয়াল পরিমাপ আছে। শরীরের ওজন বাঞ্ছিত ওজনের থেকে বেশি হলে বুঝতে হবে আপনি মুটিয়ে যাচ্ছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct