সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: ভয়ংকর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাঁকুড়ার তিন কন্যা। বাঁকুড়া থেকে প্রায় ১৪৬৫ কিলোমিটার দূরে বিবিনগরের কাছে বিধ্বংসী আগুনের কবলে পড়ে হাওড়া সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস।বাঁকুড়ার বছর একুশের তিন মেয়ে শ্রেয়সী দে মোদক, দেবত্রী পরমানিক, বর্ষালী দাস হায়দ্রাবাদ সংলগ্ন মাল্লারেড্ডি সুপার হসপিটালে জিএনএম নার্সিং পড়তে যাচ্ছিলেন। ট্রেনের বগিতে আগুন লেগেছে দেখে দ্রুততার সাথে দরজা দিয়ে বের হতে গেলে সেই প্রচেষ্টা বিফল হলে এমার্জেন্সি এক্সিট ব্যবহার করে একপ্রকার জানলা থেকে লাফিয়ে জ্বলন্ত ট্রেন থেকে নামতে সক্ষম হন তিনজনেই। এদিন সাড়ে ১১ টা নাগাদ ফলকনামা এক্সপ্রেসের এস ৪, এস ৫, এস ৬ এবং এস ৭ বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ায় ভিড় জমে ওঠে ট্রেনের দরজা গুলিতে হলো তো, প্রত্যেকেই তাদের পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ট্রেন থেকে নামার প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। এইরকম অবস্থায় এই তিন মেয়ের। উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে এমার্জেন্সি এক্সিট ব্যবহার করে একপ্রকার জানলা থেকে লাফিয়ে জ্বলন্ত ট্রেন থেকে নামতে সক্ষম হন তিনজনেই। ট্রেন থেকে নেমে একপ্রকার দিশাহীন হয়ে পায়ে আঘাত নিয়ে লাইন বরাবর চলতে থাকেন তারা। শ্রেয়শী, দেবত্রি এবং বর্ষালি জানান যে “উদ্ধার কার্য শুরু হতে বেশ অনেকটাই দেরি হয়ে যায় যার ফলে অনেকটাই ভয় পেয়ে গেছিলেন তারা, তবে প্রানে রক্ষা পেয়েছেন এটাই অনেক। পরিবারের লোকজন যাতে আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন সেই কারণে শ্রেয়শীর বাবা বুদ্ধদেব দে মোদক ট্রেনে আগুন লাগার খবর বাড়িতে জানাননি তবে পরে জানাজানি হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পরিবার এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে। বারে বারে রেল বিভ্রাট গোটা দেশজুড়ে। সাম্প্রতিক করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা কাটতে না কাটতেই। বাঁকুড়ায় ওনদা গ্রাম রেল স্টেশনে ঘটে যায় অপর একটি ভয়ংকর রেল দুর্ঘটনা।তারপরে এদিন হাওড়া সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেসের আগুন লাগার কবলে পড়েন বাঁকুড়ার তিন ছাত্রী। নিজেদের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তারা। তবুও রেলের প্রতি যেন একটি অবিশ্বাস জন্মাচ্ছে গোটা দেশজুড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct