আপনজন ডেস্ক: ফৌজদারি মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীর দুই বছরের কারাদণ্ড স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। গত এপ্রিলে সুরাটের একটি দায়রা আদালত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতার আপিল খারিজ করে দেয়। ২০১৯ সালে কেরালার ওয়েনাড থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হওয়া রাহুল এখনও সংসদ থেকে অযোগ্য। তিনি এখন হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন। ঘটনাটি ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিলের। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্ণাটকের কোলারে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি হিন্দিতে বলেন, “নীরব মোদী, ললিত মোদী বা নরেন্দ্র মোদী ই হোন না কেন সব চোরের ‘মোদী’ উপাধি থাকবে? তিনি পলাতক জুয়েলারি নীরব মোদী এবং প্রাক্তন ক্রিকেট প্রশাসক ললিত মোদীর দিকে ইঙ্গিত করছিলেন, যাদের উভয়ের বিরুদ্ধেই আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। রাহুলের বক্তব্যের পরের দিনই স্থানীয় বিজেপি নেতা এবং গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদী সুরাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি ব্যক্তিগত অভিযোগ দায়ের করেন।২০২৩ সালের ২৩ শে মার্চ ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এইচ ভার্মা রাহুলকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় ফৌজদারি মানহানির জন্য দোষী সাব্যস্ত করেন এবং সেই ধারায় তাকে সর্বোচ্চ সাজা দেন, যা দুই বছরের জেল। গণপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, “কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত এবং অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার তারিখ থেকে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন এবং মুক্তির পর থেকে আরও ছয় বছরের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। রাহুলগান্ধীর আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত শুক্রবার উল্লেখ করেছে যে তিনি ইতিমধ্যে সারা ভারত জুড়ে ১০ টি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন এবং নিম্ন আদালতের আদেশ তাকে দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে “ন্যায়সঙ্গত, যথাযথ এবং আইনি” ছিল। আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে ২০১৯ সালের ফৌজদারি মানহানি মামলায় গান্ধীর “মোদী উপাধি” মন্তব্যের জন্য তার দোষী সাব্যস্ত হওয়া স্থগিত করার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct