আপনজন ডেস্ক: শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য যে ৬১,৬৩৬টি বুথে ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে, তার প্রতিটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একজন সশস্ত্র জওয়ান মোতায়েন করার প্রস্তাব ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত ফোর্স কো-অর্ডিনেটর এখন কেবল সংবেদনশীল বুথগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছেন।মাত্র ৪,৮৩৪টি বুথ বা রাজ্যজুড়ে মোট বুথের ৭.৮ শতাংশকে ‘সংবেদনশীল’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। জানা গিয়েছে, লেহ-এর মতো দূরবর্তী এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চূড়ান্ত প্রেরণ শুক্রবার বিকেলে রাজ্যে পৌঁছানোর পর সারা রাত ধরে মোতায়েন করতে হবে।রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠানো চিঠিতে এসসি বুদাকোটি, আইজি বিএসএফ এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফোর্স কোঅর্ডিনেটর কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের ধরণ বদলে দিয়ে বলেছেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অর্ধেকেরও কম সংখ্যক বাহিনী বা চারজন জওয়ান মোতায়েন করা হবে না। যেহেতু প্রতিটি কোম্পানিতে প্রায় ৮০ জন সক্রিয় সশস্ত্র জওয়ান রয়েছে এবং প্রতিটি বিভাগে আটজন কর্মী রয়েছে, তাই উপলব্ধ বাহিনীর ৮২২ কোম্পানি ফোর্স কমান্ডারদের ৬৫,০০০ এরও বেশি সক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার অনুমতি দেবে। ফোর্স কোঅর্ডিনেটরের সেকশনগুলি অর্ধেকেরও কম না করার সিদ্ধান্তের অর্থ হল ৬১,০০০ বুথের প্রতিটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। আইজি, বিএসএফ কর্তৃক বর্ণিত মোতায়েনের ফর্মুলাটি নিম্নরূপ: দুটি বুথ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে জওয়ানদের অর্ধেক অংশ; তিন-চারটি বুথ ের প্রাঙ্গণে একটি বিভাগ (আট জন জওয়ান); পাঁচ-ছয়টি বুথে দেড় সেকশন (১২ জন জওয়ান) এবং সাতটি বা তার বেশি ভোটকেন্দ্রে দুটি সেকশন (১৬ জন জওয়ান) থাকবে। সিএপিএফ-এর একটি কোম্পানি প্রতিটি স্ট্রং রুমে পাহারা দেবে, যেখানে ভোট শেষ হওয়ার পরে ব্যালট বাক্স গণনার জন্য সংরক্ষণ করা হবে। কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাহিনীর ৫০:৫০ অনুপাত বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তাই সশস্ত্র পুলিশ নিয়ে কমিশন ফোর্স কোঅর্ডিনেটরের দ্বারা নতুন মোতায়েনের সাথে সামঞ্জস্য রাখার পরিকল্পনা করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct