আপনজন ডেস্ক: হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিস্তা শীতলাবাদ, যেখানে তাঁকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে বিশেষ শুনানিতে গুজরাত হাইকোর্টের আদেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ।গুজরাট হাইকোর্ট তাঁর নিয়মিত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরেই তিস্তা শীতলাবাদ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন।২০০২ সালের গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গায় নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া সমাজকর্মী তিস্তার পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ তৈরির মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে গুজরাট হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সমাজকর্মী তিস্তা শীতলাবাদ আবেদন শনিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়।বিচারপতি বি আর গভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ রাত সোয়া ৯টায় একটি বিশেষ বৈঠকে এই আবেদনের শুনানি শুরু করে।
শুনানিতে বিচারপতিরা বলেন তিস্তা শীতলাবাদকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দেওয়ার প্রশ্নে আমাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তাই আমরা প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করছি, এই বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে ন্যস্ত করা হোক। উল্লেখ্য হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শীতলাবাদ যেখানে তাঁকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। তিস্তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে গুজরাট হাইকোর্ট বলেছিল যে তাকে জামিন দেওয়া “সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে আরও গভীর এবং বিস্তৃত করবে”, যখন “আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্বকে শক্তিশালী করার প্রয়াসে দেশের অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি”। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত প্রমাণ তৈরির অভিযোগ রয়েছে তিস্তা শীতলাবাদের বিরুদ্ধে। বিচারপতি নিরজার দেশাই-র আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে তিনি “গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অস্থিতিশীল করতে” এবং “তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী” (নরেন্দ্র মোদী) এর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং “তাকে জেলে পাঠানোর জন্য এবং তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য” “মিথ্যা হলফনামা” দাখিল করেছিলেন। আদালত বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা তিস্তা শীতলাবাদকে “অবিলম্বে আত্মসমর্পণ” করার নির্দেশ দিয়েছে এবং তার আইনজীবীর ৩০ দিনের জন্য রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। মামলাটি শীর্ষ কোর্টে এলে বিচারপতি বি আর গভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানায় এই বিষয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে তাই তারা আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করে। কিন্তু পরবর্তীতে গুজরাট হাইকোর্টের আদেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। গুজরাট হাইকোর্ট তাঁর নিয়মিত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরেই তিস্তা শীতলাবাদ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন।২০০২ সালের গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গায় নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া সমাজকর্মী তিস্তার পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct