আপনজন ডেস্ক: ইউনিফর্ম সিভিল কোডের কঠোর বিরোধিতায় নামল দেশের মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। মঙ্গলবার রাতে দেশের বিশিষ্ট মুসলিম নেতাদের উপস্থিতিতে অনলাইন জরুরি বৈঠকের পর মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মাওলানা খালিদ রশিদ ফারাঙ্গি মাহালি বলেন, “আমরা আইন কমিশনের সামনে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও শক্তিশালীভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে সরকারের প্রস্তাবিত পদক্ষেপকে প্রতিহত করার জন্য একটি কৌশল তৈরি করছি।অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) প্রস্তাবিত ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) আইনের বিরোধিতা করবে, যা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতের সমস্ত নাগরিকের জন্য একটি সাধারণ ব্যক্তিগত আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের চেষ্টা করে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশব্যাপী এই আইন বাস্তবায়নের পক্ষে কথা বলার কয়েক ঘন্টা পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি জরুরি অনলাইন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পার্সোনাল ল বোর্ডের সভাপতি সাইফুল্লাহ রহমানি, ইসলামিক সেন্টার অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান মাওলানা খালিদ রশিদ ফারাঙ্গি মাহালি, এআইএমপিএলবি’র সদস্য, এআইএমপিএলবি’র আইনজীবী ও অন্যান্যরা এই অনলাইন বৈঠকে আইন কমিশনের সামনে আরও জোরালোভাবে তাদের মতামত উপস্থাপনে সম্মত হন। বৈঠকে আইন কমিশনে জমা দেওয়া নথিপত্রও চূড়ান্ত করা হয়।মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী যে মতামত দিয়েছেন তা কয়েক মাস আগে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের দাখিল করা হলফনামার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।হলফনামায় বলা হয়েছে, “বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের নাগরিকরা ভিন্ন সম্পত্তি এবং বৈবাহিক আইন অনুসরণ করা দেশের ঐক্যের অপমান”। মাওলানা খালিদ রশিদ ফারাঙ্গি মাহালি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে রাজনীতিবিদরা নির্বাচনের ঠিক আগে ইউসিসির বিষয়টি উত্থাপন করে আসছেন। এবারও ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে বিষয়টি উঠে এসেছে। আমি সবসময় বলেএসেছি যে ইউসিসি কেবল মুসলমানদেরই প্রভাবিত করবে না, হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, ইহুদি, পার্সি এবং দেশে বসবাসকারী অন্যান্য ক্ষুদ্র সংখ্যালঘুদেরও প্রভাবিত করবে। ভারত এমন একটি দেশ যেখানে প্রতি ১০০ কিলোমিটারে ভাষা পরিবর্তিত হয়। সুতরাং, কীভাবে আমরা সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য একই নিয়মে থাকতে পারি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct