আপনজন ডেস্ক: বিদ্রোহ নয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার এবং তার সেনার আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছিল ওয়াগনার বাহিনী। পুতিনের চাপের মুখে ‘রণে ভঙ্গ দেওয়ার’ ২৪ ঘণ্টা পরে সোমবার (২৬ জুন) এক অডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।তিনি বলেন, ‘‘রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরার আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।’’ তবে রুশ সেনা বা তাদের সহযোগীরা আক্রমণ করলে ওয়াগনার যোদ্ধাদের তা প্রত্যাঘাত করতে অডিও বার্তায় নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শনিবার পুতিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে তার একদা ঘনিষ্ঠ হোটেল ব্যবসায়ী প্রিগোজিনকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে চিহ্নিত করে গ্রেফতারির নির্দেশ জারি করেছিলেন। তার পরেই গোপনে রাশিয়া ছেড়ে প্রিগোজিন বেলারুশে পাড়ি দিয়েছেন বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের একাংশের খবর। পুতিনের ‘বার্তা’ পেয়ে তার ঘনিষ্ঠ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজেন্ডার লুকাশেঙ্কো আশ্রয় দিয়েছেন প্রিগোজিনকে। তার ওয়াগনার যোদ্ধারা রোববারই ‘বিদ্রোহে’ ইতি টানার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের বিভিন্ন ‘ফ্রন্টে’ তারা রুশ সেনার সহযোগী হয়ে লড়াইয়ে ফিরতে শুরু করেছে বলে প্রকাশিত বিভিন্ন খবরে জানানো হয়েছে। প্রিগোজিনের ওই ভাড়াটে বাহিনী রুশ সেনার অংশ নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct