সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: পাঁচ বছর শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধান তারপরেও বাস করেন ভাঙ্গা ঘরে সৎ পঞ্চায়েত প্রধানকে নিয়ে গর্বিত গ্রামবাসীরা । বর্তমান সময়ে যখন রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে এমনকি অনেক নেতাকে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছে এই রকম এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে উলট পূরণের সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর পঞ্চায়েত এলাকা। রাধামোহনপুর পঞ্চায়েতের বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু রুইদাস ৫ বছর ধরে রাধামোহনপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি কিন্তু তারপরেও এখনো তিনি বাস করেন ভাঙ্গা বাড়িতে অর্থাৎ এক কথায় বলাই চলে কুড়েঘরে বসবাস । বিরোধীরা যখন বারবার অভিযোগ তোলেন শাসকদলের নেতা মানেই দুর্নীতি আর টাকার পাহাড় কিন্তু রিংকুর ওইদাসের ক্ষেত্রে ছবিটা ঠিক তার উল্টো । দলের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ সকলের একটাই দাবি অত্যন্ত সততার সঙ্গে তিনি পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলেছেন তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ নেই । সংসার সামলে পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব পালন পরে অবসর সময়ে বাড়িতে সেলাই মেশিন চালিয়ে দুটি বাড়তি পয়সার রোজগারের চেষ্টা করেন তিনি । পাশাপাশি তার স্বামী ক্ষেত মজুরের কাজ করেন । গ্রামবাসীরা চাইছেন আগামী দিনেও তিনি এই সততা নিয়ে পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলাক । ভাঙ্গা বাড়িতে বসবাস করলেও সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি এখনো তিনি নেননি । রাধামোহনপুর পঞ্চায়েতের বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু রুইদাস জানান , আমার স্বামী খেৎ মজুরের কাজ করে আমি অবসর সময়ে সেলাই মেশিন চালাই এভাবেই আমাদের সংসার চলে । আগামী দিনে দল আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি দলের দায়িত্ব মাথা পেতে নেব। বাঁকুড়া জেলার ৫৬ নম্বর জেলা পরিষদের তৃণমূলের প্রার্থী তথা রাধামোহনপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশীষ ঘোষ জানান , অত্যন্ত সততার সঙ্গে তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন আগামী দিনে তাকে আরো বড় দায়িত্ব দেওয়া যায় কিনা তার চিন্তাভাবনা রয়েছে আমাদের । পাশাপাশি এখনো অনেক গরিব মানুষ রয়েছে যারা সরকারি আবাস যোজনার ঘর পাইনি তাই রিঙ্কু রুইদাস তিনিও ঘর পাওয়ার যোগ্য হলেও আবাস যোজনার ঘর নেননি ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct