আপনজন ডেস্ক: আজ শুক্রবার পাটনায় বিরোধী দলের বৈঠক হতে চলছে বেশ সরগরম ভাবে। পাটনায় বিরোধী দলের বৈঠকের আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বৃহস্পতিবার আস্থা প্রকাশ করেছেন যে বিরোধী দলগুলি একটি পরিবারের মতো লড়াই করবে এবং বিজেপিকে “একের বিরুদ্ধে এক” হিসেবে মোকাবেলা করবে। তবে রাজ্যে বামপন্থীদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নিয়ে তার আপত্তি এবং আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে দিল্লিতে পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ নিয়ে সমর্থন না পেলে ‘ওয়াকআউট’ করার হুমকি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, শুক্রবারের বৈঠকে কী হবে তা আমি বলতে পারব না। তবে আমি নিশ্চিত যে আমরা সবাই এখানে এক পরিবারের মতো, এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছি। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বাসভবনের বাইরে তার বাবা ও আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর সঙ্গে দেখা করেন মমতা।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লালুজির প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। গরীব লোকটিকে জেলে পাঠানো হয়েছিল এবং তাকে হাসপাতালে অনেক সময় কাটাতে হয়েছিল। তিনি আরজেডি প্রধানের সাথে জড়িত একটি হাস্যকর উপাখ্যান ভাগ করে সবাইকে অবাক করে দেন। তিনি বলেন, একবার যখন লালুজি এবং আমি দুজনেই সাংসদ ছিলাম, তখন তিনি সংসদে বলছিলেন যে সমস্ত শাকসবজি, আলু, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আমি উঠে দাঁড়ালাম এবং জিজ্ঞেস করলাম, রাবড়ির দাম কী হবে। প্রবীণ নেতার স্ত্রীর নাম উচ্চারণ করে হাসির আওয়াজ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজেডি সুপ্রিমোর কিংবদন্তি বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করে তিনি বলেন, লালুজি উত্তর দিয়েছিলেন, রাবড়ি সবচেয়ে মূল্যবান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লালু প্রসাদের সাথে দেখা করতে পেরে তিনি আনন্দিত। পাটনায় পা রাখার পর সরাসরি আরজেডি নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপিকে মোকাবেলা করার জন্য তিনি যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তার ভাইপো তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি মেহবুবা মুফতি সকালে প্রথম পাটনায় পৌঁছান। সিপিআই (এমএল) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সিপিআই সম্পাদক ডি রাজা, সিপিএম সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ছাড়াও কেজরিওয়াল ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান পাটনায় পৌঁছন। রাতে এম কে স্ট্যালিন অাসছেন। শুক্রবার অাসছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব, হেমন্ত সোরেন, উদ্ধব ঠাকরে, প্রধান শরদ পাওয়ার এবং ওমর আবদুল্লাহ।