নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: রীতা পাবলিকেশনের WB SSC/MSC -এর বই ‘A Complete Guide to SLST ইতিহাস (IX - X & XI - XII)’ - এ একটি ভুল তথ্য সংশোধনের দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করলো এসআইও। ড: গৌতম পাত্রের লেখা এই বইটির ‘H31’ পৃষ্ঠায় ‘আমির খুসরু’ - এর পরিচয়ে তাঁর অভিধা হিসেবে ‘দিল্লির হজরত মুহাম্মাদ’ ব্যবহার করা হয়েছে, যা এক বড়ো ধরনের ধরনের ত্রুটি।হজরত মুহাম্মাদ (তাঁর ওপর শান্তি বর্ষিত হোক) ইসলামের সর্বশেষ বার্তাবাহক। তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য করুণা স্বরূপ এসেছিলেন। তিনি জগতে এমন এক আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা অনুসরণ করলে মানব জাতির সর্ববিধ মঙ্গল ও উন্নতি সাধন হতে পারে। ইসলাম ধর্মে তাঁকে সবথেকে উচ্চতম মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এমনকি অন্যান্য ধর্মের মানুষেরাও, যেমন জর্জ বার্নার্ড শ’, মহাত্মা গান্ধী, লিও টলস্টয়, পন্ডিত নেহরু, সরোজিনী নাইডু, প্রফঃ রামকৃষ্ণা রাও -এর মতো অসংখ্য মহামানব হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) -এর মহিমার প্রশংসা করেছেন। মানব জাতির অন্য কোন ব্যাক্তির সাথে তাঁর তুলনাই চলেনা এবং কেউ কোনোদিন তা চেষ্টাও করেনি। তাই ইতিহাসে কেউ কোনদিন অন্য কোনো ব্যক্তিকে, সে যতই মর্যাদা সম্পন্ন হোক না কেন, হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নামে অভিধ করবে - এটা অকল্পনীয়। তাই উল্লিখিত বইয়ে ‘আমির খুসরু’র অভিধা হিসেবে ‘দিল্লির হজরত মুহাম্মাদ’ - লেখাটা বস্তুত অযৌক্তিক এবং একেবারেই ত্রুটিপূর্ণ। সাথে সাথে যেকোনো পাঠ্য বইয়ে এরকম ভুল দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতেও আঘাত হানে। এদিন এসআইও’র শিক্ষা সম্পাদক মহ: মুরসালীম পাবলিশার্সদের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেন, “যদি সত্যিই বইয়ের তথ্য সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের পাবলিকেশন তথা লেখক মহাশয়ের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে আপনারা এই তথ্যের উপযুক্ত প্রমান পেশ করুন নতুবা দ্রুত সংশোধন করুন এবং সংশোধিত বইয়ের পুনর্মুদ্রণ না হওয়া পর্যন্ত বইয়ের সরবরাহ বন্ধ রাখুন। ”প্রসঙ্গত, এসআইও’র পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যসূচি পর্যালোচনা করা হয়। এবং সংগঠন পাঠ্যসূচিতে ইতিহাস বিকৃত করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বদায় সরব থাকে এবং শিক্ষার গৈরিকিকরণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে থাকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct