আপনজন ডেস্ক: ওজন বেড়ে গেলে পিঠ ও কোমরে চাপ পড়ে। তখন ব্যথা হয়। এছাড়া ভারী পণ্য বহন করা, একাধারে কুঁজো হয়ে বসে থাকা, এলোমেলো অঙ্গভঙ্গিতে ঘুমানো, বয়সজনিত কারণে, গর্ভাবস্থায় কোমরে ব্যথা হতে পারে। অনেকে কোমরে ব্যথা কমাতে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ খান। কেউ কেউ ব্যায়াম করেন। ঘন ঘন ওষুধ না খেয়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। প্রথমত, গরম সেঁক দিতে পারেন।গরম সেঁক শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। পেশি বা সন্ধিতে গরম সেঁক দেওয়া হলে সেখানকার রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়, ফলে রক্ত চলাচল বাড়ে। এর ফলে আক্রান্ত মাংসপেশিতে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ বেড়ে যায়। হিটিং ব্যাগে গরম জল ঢেলে বা সুতি কাপড় আয়রন করে সহনীয় তাপে কোমর ও পিঠে ছেঁক দিন। প্রতিদিন আধঘণ্টা এই সেঁক নিতে পারেন। কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে বরফ থেরাপি করতে পারেন। মাংসপেশির জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমাতে এটা সাহায্য করে। পিঠ ও কোমর ব্যাথা থেকে আরাম পেতে বরফ থেরাপি দিতে পারেন। আইস ব্যাগ বা কতোগুলো বরফের টুকরো গামছা বা টাওয়ালে নিয়ে কোমরে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এটি প্রতিদিন ১-২ বার ব্যবহার করবেন। ভিটামিন বি১২ এ অ্যান্টি-ইনফ্লোমেটরি এবং ব্যথা প্রতিষেধক গুণাবলি রয়েছে। এটি পিঠে ও কোমরের ব্যথা কমাতে এবং এর লক্ষণগুলি দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি,ডি, ই , অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলি রয়েছে যা কোমর ও পিঠের ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে। তবে কোনো ধরনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct