আপনজন ডেস্ক: ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার রবি সিনহা দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’- এর প্রধান হলেন। বরাবরই দুঁদে অফিসার বলে পরিচিত এই আইপিএস কর্তা ২০০২ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে ছিলেন। মূলত বিবিধ গোয়েন্দা কাজকর্মের দায়িত্বে। পরে ক্যাবিনেট সচিবালয়ের স্পেশাল সেক্রেটারি করা হয়েছিল তাঁকে। সোমবার সেই আইপিএস অফিসারকেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যানালিসিস উইং তথা র’-এর প্রধান হিসাবে নিয়োগ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইংয়ের সচিবকেই এই গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলা হয়। এতদিন র-এর সচিব পদে ছিলেন ১৯৮৪ ব্যাচের পাঞ্জাব ক্যাডারের আইপিএস অফিসার সামন্ত গোয়েল। সম্ভবত দীর্ঘ সময়ে এজেন্সির শীর্ষ পদে ছিলেন তিনি। এক অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কর্তা এদিন বলেন, রবি সিনহা অত্যন্ত যোগ্য অফিসার। বস্তুত ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসারদের অনেকেই ছিলেন বেশ প্রতিভাবান। ৮৮ ব্যাচের বেশ কয়েকজন অফিসার রাজ্যস্তরে ডিরেক্টর জেনারেল হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে ৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার ছিলেন সৌমেন মিত্র, হরমনপ্রীত সিং, নাগা রমেশ, সুধীর মিশ্র প্রমুখ। এবার মোদী সরকারের গোয়েন্দা দপ্তরের গোটা দেশের শুধু নয় আন্তর্জাতিক স্তরে গুপ্ত খবর সংগ্রহের বড় দায়িত্ব পেলেন রবি সিনহা। ওয়াকিবহাল মনে করছে, এক সন্ধিক্ষণেই ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার প্রধানের কুর্সিতে বসতে চলেছেন রবি সিনহা। তার অন্যতম কারণ ফের শিখ উগ্রপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই, এমনকি দেশের বাইরেও ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠছে খলিস্তানপন্থী একাধিক সংগঠন। সম্প্রতি কানাডা, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ওই হামলা এবং খলিস্তান পন্থীদের নতুন করে সংগঠিত হওয়ার আগাম খবর জোগাড় করতে ব্যস্ত হয়েছে ‘র’-এর আধিকারিকরা। নতুন করে সংস্থাকে সাজাতে তাই ছত্তিশগড় ক্যাডারের দাপুটে পুলিশ আধিকারিকের ওপরেই ভরসা রেখেছে মোদি সরকার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct