আপনজন ডেস্ক: উত্তর প্রদেশে এক মুসলিম যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর, মাথা মুণ্ডন ও জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হয়েছে। এই কাজে অভিযুক্ত দোষীদের গ্রেফতার না করে ভুক্তভোগী মুসলিম যুবককে কাকোদ পুলিশ গ্রেফতার করে এবং ১৫ জুন তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। গত ১৪ জুন উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর জেলায় এক মুসলিম যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করে তিন ব্যক্তি। শনিবার নির্যাতিতার বোন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ধৃতদের নাম সৌরভ ঠাকুর, গজেন্দ্র ও ধনী পণ্ডিত। অভিযোগ, মহম্মদ সাহিল খান নামে এক দিনমজুর মোবাইল ফোন চুরি করে সন্দেহে তাঁকে মারধর ও নির্যাতন করে তারা। তারা সাহিল খানের মাথাও মুড়িয়ে দেয়।কিন্তু কাকোদ পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকেই গ্রেফতার করে এবং ১৫ জুন তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। তবে শনিবার সাহিলের বোন রুবিনা (২৫) বুলন্দশহরের সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) শ্লোক কুমারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে নির্যাতিতাকে জেলে পাঠানোর অভিযোগে কাকোদ থানার স্টেশন হেড অফিসার (এসএইচও) অমর সিংকে সাসপেন্ড করেন এসএসপি। শ্লোক কুমারের হস্তক্ষেপে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (ধর্মের উপর আক্রমণ), ৩৪২ (অপহরণ) এবং ৫০৫ (অপরাধমূলক হুমকি) ধারায় মামলা দায়ের করা হয় এবং পরে ১৭ জুন দোষীদের গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি শনিবার টুইটারে লিখেছেন, “একজন দিনমজুরকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করা হয়েছে এবং ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছে। পুলিশের উদাসীনতা এতটাই যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে সাহিলকে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাদের উপর নৃশংসতার অভিযোগ দায়ের করতে আমাদের কোথায় যাওয়া উচিত?”। তিনি টুইটের সাথে ঘটনার ভিডিওও যুক্ত করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct