আপনজন ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা অনেক আগেই বুঝে গিয়েছিল শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা আরো একবার বুঝিয়ে দিলেন খোদ মমতা। শুক্রবার কাকদ্বীপে অভিষেক বলেছিলেন, যুদ্ধের সময় যারা বেইমানি করবেন, তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক থাকবেন না তৃণমূল কংগ্রেসের। তাদের কখনও ফেরত নেওয়া হবে না দলে। গত মাসে মালদায় গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, কেউ যদি মনে করেন, টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়বেন, তাহলে তিনি তা করতে পারেন। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে যদি কোনও ব্যক্তি নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, এই আশায় যে তিনি জিতলে দল তাকে ফিরিয়ে নেবে, তবে তা ঘটবে না। তাদের জন্য দলের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। শনিবার অভিষেকের সেই বক্তব্যেই সিলমোহর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে বিকেল ৪টে থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক বসে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ এই কমিটির ৫৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী দলের বিক্ষুব্ধদের প্রতি কড়া বার্তা দিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর যারা টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে লড়াই করছেন তাদের উদ্দেশে। মমতা এই সব বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের বিশ্বাসঘাতক বলে অভিহিত করেন। সেই সঙ্গে বলেন এই সব বিশ্বাসঘাতকদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দরজা সারাজীবনের জন্য বন্ধ থাকবে। দলের অনুমতি ছাড়া যারা গোঁজ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন তাদের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। মোট তিনটি বিষয় নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। প্রথমত দলের নির্দেশ অমান্য করে নির্দল হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়ানো নেতা–কর্মীদের সম্পর্কে কড়া বার্তা দেন তৃণমূলনেত্রী। এমনকি, এই সব নির্দলদের পিছনে দলের করা ইন্ধন দিচ্ছেন সেটা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে ওই সব নেতাদেরও রেয়াত করা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি। মহিলা ভোটারদের কাছে পৌঁছনোর জন্য বঙ্গ–জননী বাহিনীকে প্রত্যেক বুথে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct