তাবাস্সুমা খাতুন, বসিরহাট, আপনজন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল তৃণমূল। বসিরহাট মহাকুমার অন্তর্গত হাড়োয়া বকজুড়ী পঞ্চায়েতের মোট ২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও তিনটি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে।২৩ টি গ্রাম সভার মধ্যে ২৩টি ও পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি এককভাবে দখল করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এখানেও প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিরোধীরা। এমন পরিস্থিতি দেখে বিরোধীরা চিৎকার করলেও নিজেদের সাংগঠনিক ব্যর্থতা ঢাকতে পারছেন না।মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হতেই গ্রামবাংলার বেশ কয়েকটি জায়গার ছবি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীরা সময়–সুযোগ পেয়েও প্রার্থী দিতে পারেনি এমনটায় সূত্রের খবর। সুতরাং সেই সব গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা অবশ্য দু’দিনে সর্বত্র মনোনয়ন দাখিল করেছে। তাই এখন থেকেই নানা প্রান্তে আবির খেলা থেকে মিষ্টিমুখ করার মতো ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। স্থানীয় সিপিএম নেতা বলেন,আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দিয়েছে তৃণমূল। হাড়োয়া জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, মনোনয়ন জমা দিতে শাসকদলের লোকজন বাধা দিয়েছে। আমাদের ঘর থেকে বার হতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসের হাড়োয়া যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা, তিনি বলেন, তৃণমূল উন্নয়নের জন্য এখানে বিজেপি ও সিপিএম কেউ প্রার্থী দিতে পারেনি। ওরা কোনও প্রার্থী বা প্রস্তাবক পায়নি। এখানে কোনও সন্ত্রাস বা কাউকে আমরা বাধা দিইনি। এলাকার মানুষ উন্নয়নকে সম্মান জানিয়েছে।বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct