আপনজন ডেস্ক: রাজধানী দিল্লির তিন মূর্তি কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা খোলার এক বছরের মধ্যে ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি (এনএমএমএল) সোসাইটি’ থেকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম মুছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সোসাইটির পরিচালন সমিতির বৈঠকে ঠিক হয়, সংস্থার নতুন নাম হবে ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও সোসাইটি।’ এনএমএমএল সোসাইটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সহসভাপতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মোট ২৯ সদস্যের মধ্যে আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, নির্মলা সীতারমণ, ধর্মেন্দ্র প্রধান, জি কিষেণ রেড্ডি ও অনুরাগ ঠাকুর। গতকাল বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন রাজনাথ সিং। পরিচালন সমিতির এই সিদ্ধান্তের খবর জানাজানির পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস। আজ শুক্রবার দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ টুইট করে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পুরো দায় চাপিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর। ‘ক্ষুদ্রতা, নীচতা ও প্রতিহিংসার নাম মোদি’ মন্তব্য করে তিনি লেখেন, ‘উনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা একজন অতি ক্ষুদ্র মানুষ ও স্বঘোষিত বিশ্বগুরু।’ জয়রাম টুইটে লেখেন, ৫৯ বছর ধরে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি বিশ্বে জ্ঞানভান্ডার ও বৌদ্ধিক বিকাশের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এর বইপত্র ও অন্যান্য সংগ্রহ অতুলনীয়। এবার থেকে এই স্থাপনা ‘প্রধানমন্ত্রী মেমোরিয়াল ও সোসাইটি’ বলে পরিচিতি পাবে। ভারতের রূপকারের নাম ও উত্তরাধিকার ধ্বংস ও বিকৃত করতে আর কী কী বাকি রাখবেন মোদি? এনএমএমএল স্বশাসিত সংস্থা। আধুনিক ও সমকালীন ভারতের গবেষণায় এই সংস্থা সহায়ক। ১৯৬৪ সালের ১৪ নভেম্বর জওহরলাল নেহরুর ৭৫তম জন্মদিনে তিন মূর্তি কমপ্লেক্সে অবস্থিত এই সোসাইটির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন।তিন মূর্তি ভবন ছিল প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকারি আবাস। ১৯৬৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত আমৃত্যু তিনি এখানে বসবাস করেছিলেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে এর নাম পরিবর্তন ও চরিত্র বদল করে ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা’ রাখা হয়। এবার বদলানো হলো এনএমএমএল-এর নামও। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মোদি বহুবার বলেছেন, কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়ে তোলা তাঁর সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যের একটা অঙ্গ বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারি কার্যক্রম থেকে নেহরু ও গান্ধীদের নাম মুছে দেওয়া।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct