আপনজন ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ভাঙড়। যায়নি বৃহস্পতিবারও। এদিন ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের সামনে তৃণমল সমর্থকরা অবরুদ্ধ করে রাখায় আইএসএফ তথা বিরোধী দলের প্রার্থীরা মনোানয়ন দিতে পারেনি। তারই েজর গিয়ে পড়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাসন্তী, ক্যানিংয়েও। বাসন্থীয় হাইওয়েতে দীর্ঘক্ষণ আইএসএফ সমর্থকরা অবেরাধ করেন। অশান্তি রুখতে তৈরি ছিল পুলিশ। ঘটনাস্থলে ছিল ব়্যাফও। তাঁদের সামনেও চলে অশান্তি। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ভাঙড়। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে এ ঘটনা চলার সময়-সময় আইএসএফ নেতা ও স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে। কিন্তু মমতা নওশাদ সিদ্দিকিকে সাক্ষাৎ করার সময় না দিলে তিনি ফিরে আসেন। নওশাদ সিদ্দিকি পরে বলেন, ভাঙরের অবস্থা জানাতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সময় দিতে পারেননি। এই ভাঙড়ে ৫টি গাড়ি ভাঙচুর হয়। তৃণমূল দাবি করেছে এই গাড়িগুলো ভেঙেছেন আইএসএফের সমর্থকেরা। এদিকে তৃণমূলের দুই দলের মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যানিং বাস স্ট্যান্ড এলাকা। অশান্তির কেন্দ্রবিন্দুতে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী। একদলের বিরুদ্ধে অপরকে মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এরপরই চরমে ওঠে অশান্তি। ব্যাট, উইকেট নিয়ে শুরু হয় আক্রমণ, পালটা আক্রমণ। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ, ব়্যাফ। তৃণমূলের একদলকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছিল অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এদিকে এখানে সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বেধে যায় তুমুল সংঘর্ষ। ক্যানিং বাজার এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। ইট - পাটকেলে রাস্তা ভরে যায়। ভয়ে সকলে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যায়। বন্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক যান চলাচল। স্বাভাবিক জনজীবন পুরোপুরি ব্যাহত হয়। বিকেল নাগাদ ওই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct