এম মেহেদী সানি, কলকাতা, আপনজন: নিট- ২০২৩ এ আল-আমীন মিশনের আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এবারের পরীক্ষার্থীরা। সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এ অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে আল আমীন মিশন। আল আমীন মিশন থেকে এ বছরেও ছয়শোরও বেশি ছাত্রছাত্রী ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাবেন বলে তাদের রেজাল্ট বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন আল আমীন মিশন কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আল আমীন মিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে প্রায় ৩৭ বছর আগে ১৯৮৭ সালে আল আমীন মিশন তাদের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ডাক্তারি কোচিং শুরু করে, সবচেয়ে বড় সাফল্য এ বছর। এ বছর নিট-এ সর্বভারতীয় স্তরে ২৫ হাজার ব়্যাঙ্কের এর মধ্যে আল আমীন মিশনের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২০৯ জন। ৩৫ হাজার ব়্যাঙ্কের মধ্যে ৩৩৪ জন, ৪৫ হাজার ব়্যাঙ্কের মধ্যে ৪৫৬ জন, ৫৫ হাজার ব়্যাঙ্কের মধ্যে ৫৪৬ জন আল আমীন পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছে। আগে এক বছরে পাঁচশোরও বেশি ছাত্রছাত্রী এখান থেকে ডাক্তারিতে ভর্তি হয়েছে, কিন্তু এবছরে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাওয়া আল আমীন মিশনের ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যাটা প্রায় সাতশোর কাছাকাছি। আর এদের বেশিরভাগই একেবারেই গ্রামগঞ্জে থেকে আসে। এই সাফল্যে আল আমীন মিশনের পরিবার দারুণভাবে আনন্দিত। এ বছরে নিট-এ আল আমীন থেকে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রাখা পড়ুয়াদের মধ্যে আবাসিক ও অনাবাসিক উভয় ক্ষেত্রের পড়ুয়ারা রয়েছে। মিশনের আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন বীরভূমের বোলপুরের মুলুক গ্রামের বাসিন্দা রেজওয়ানুল হকের পুত্র আরিফুল হক। নিট-এ এ বছর ৬৮২ নম্বর পেয়ে তার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে স্থান ১৩৩৯। আরিফুলের কথায় আল-আমীন মিশন না থাকলে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যেত। আল-আমিন মিশনের প্রধান নুরুল ইসলাম সহ আল আমীন পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে আরিফুল। আল আমীন মিশনের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে রবিয়াল মন্ডল ৬৮০, সোহেল মল্লিক ৬৮০, মোহাম্মদ আর রহমান ৬৭৫ নম্বর পেয়েছে। পাশাপাশি আল আমীন মিশনের ছাত্রীদের মধ্যে উজ্জ্বল ফল করেছে সোহানা সুলতানা। নিট-এ তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৫ সর্বভারতীয় স্তরে তার স্থান ২২৬০। বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার বাসিন্দা এই ছাত্রী আল আমীন মিশনের খলতপুর ক্যাম্পাসে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সেখানেই পড়াশুনা করছে। পরবর্তীতে গাইনোলজিস্ট হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে সোহানার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct