আপনজন ডেস্ক: হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরতে বাধ্য করার অভিযোগে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের দামোহের গঙ্গা জামনা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আফসা শেখ (স্কুলের অধ্যক্ষ), আনাস আতাহার (গণিত শিক্ষক) ও রুস্তম আলী (নিরাপত্তা প্রহরী)। দামোহর পুলিশ সুপার রাকেশ সিং সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা জেলায় অভিযান চালাচ্ছি কারণ এই মামলায় অন্যান্য ব্যক্তিরাও অভিযুক্ত এবং তারা পলাতক। আমরা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের শাস্তি) ধারাও প্রয়োগ করেছি। তিনি আরও বলেন, ৬-৭ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, প্রধানত স্কুল শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরে আদালতে হাজির করা হয় যা তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে প্রেরণ করে।গত মাসে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় স্কুলের সাফল্য উদযাপনের জন্য একটি পোস্টার প্রাঙ্গণের বাইরে লাগানো হয়েছিল, যেখানে অমুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরে দেখা গিয়েছিল। এর ফলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি ‘ধর্মান্তরের’ অভিযোগ উত্থাপন করে ধারাবাহিক প্রতিবাদ শুরু করে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, রাজ্য প্রশাসন দামোহ-ভিত্তিক গঙ্গা যমুনা স্কুলের বিরুদ্ধে ‘বুলডোজার অভিযান’ চালাতে পারে। হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের একটি পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় কথিত ‘ধর্মান্তর’ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে স্কুল ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।তদন্ত এখনও চলছে এবং একের পর এক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পলাতকদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু করেছে পুলিশ। মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন, এই মামলায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না এবং বুলডোজার অ্যাকশনও চালানো হবে। এই ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে মধ্যপ্রদেশে। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো দাবি করেছেন যে গঙ্গা যমুনা স্কুল গ্রুপ ভোপালে একটি হোস্টেল চালাচ্ছে, যা ‘ধর্মান্তরের’ জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct