তাবাস্সুমা খাতুন, বসিরহাট, আপনজন: সরকারি প্রকল্প ‘সুধী’-র (কায়াকা) সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি। ফলাফলের নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে প্রথম এবং রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে টাকি গ্রামীণ এই প্রশ্ন ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়। কেন্দ্র সরকারের দেওয়া নাম “কায়াকল্প’। রাজ্য সরকার নাম দেয় ‘সুধী’ প্রকল্প প্রকল্পের মূল লক্ষ্য, কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখা। যেমন পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণের দিকে কতটা নজর দেওয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি কেমন মানা হচ্ছে, হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কী আছে ইত্যাদি। এর পাশাপাশি হাসপাতাল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কতটা তৎপর, হাসপাতালে সহায়তা সেবা, স্বাস্থ্যবিধির প্রচার, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ কেমন সে সবও দেখা হয়। মোট নম্বর থাকে ১০০। ২০১৫ সালের পর থেকে প্রত্যেক বছরই এই সমীক্ষা করা হয় রাজা জুড়ে।জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখে নম্বর দেন। তার ভিত্তিতে যে সব হাসপাতাল ৭০ শতাংশ নম্বর, তারাই পরবর্তী পর্যায়ের জন্য উত্তীর্ণ হয়। সেই ৭০ শতাংশ নম্বরপ্রাপ্ত হাসপাতালে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রতিনিধি দল আসে। তাঁরাও নম্বর দেন। ওই নম্বরের ভিখিতে টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল (৬০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৫৮৪.৫ নম্বর, অর্থাৎ ১৭.৪২ শতাংশ।স্যানিটেশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে ও হাসপাতালে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে ১০০-র মধ্যে ১০০ পেয়েছে এই হাসপাতাল টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল যে বিভাগের প্রতিযোগিতায় রাজ্যের মধ্যে ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে, সেই বিভাগে ছিল ৩৪টি মহকুমা হাসপাতাল, ১৯টি সেট জেনারেল হাসপাতাল, ১টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ২৫৩টি গ্রামীণ হাসপাতাল ও ব্লক প্রাথমিক সুস্বাস্থ্য কেন এ বিষয়ে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি নির্মল রায় বলেন, “এই সাফল্য আমাদের কাছে দু’টি পর্যায়ে সমীক্ষা হয়। প্রথমে অত্যন্ত আনন্দদায়ক। সেই সঙ্গে জেলা এই আশা করি হাসপাতালগুলির যে ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগি সেখানে রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ স্থ অধিকার করেছে বসিরহা হাসপাতাল। এটাও খুব আনন্দের বিষয়।” নির্মলা বলেন, এ বছর মিলিয়ে বসিরহাট স্বাস্থ্যজেলা থেকে মোট ১১টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান রাজ্যের মধ্যে ভাল স্থান অধিকার করেছে। এমনটা এর আগে কখনও হয়নি।”দিক থেকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল বসিরহাট জেলা হাসপাতাল বারাসত জেলা হাসপাতালকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। টাকি গ্রা হাসপাতাল বিভাগে এই বিভাগে প্রথম হয়েছে নী স্বাস্থ্যজেলার যে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান- তার সঙ্গে মাত্র ২ শতাংশের তফাৎ।হাসনাবাদ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শাহিন হাসান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা. NICO ভাল ফলাফল হবে। তবে যে সাফল্য এল তাতে বসিরহাট সাহাজেলার আধিকারিকদের আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক-নার্সদের অনেক অবদান রয়েছে। সকলে মিলে আগামী দিনে আরও ভাল কাজ করতে পারব।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct