আপনজন ডেস্ক: আগামী ১৩ জুন, মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকা হয়েছে এই বৈঠকে। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। শোনা হবে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কথা। কমিশন সূত্রে খবর। এর আগে বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, সর্বদলীয় বৈঠক না করে একতরফা ভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের দিন ঘোষণা করেছে। শনিবার বৈঠকের দিন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগের ইতি ঘটালো বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনরকম গন্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না। করা বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বলেন,নির্বাচন কমিশনারের সাথে তার কথা হয়েছে। ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন এর কথা জানিয়েছি, কোন অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। বার্তা রাজ্যপালের।এদিকে শনিবার সকালেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধায়ক অগ্নিমিত্র পল সহ বিজেপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে অভিযোগ করেন তাঁরা।এ বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। এরপরই শনিবার দুপুরে জরুরী ভিত্তিতে রাজভবনে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা কে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল।
শুক্রবারই রাজ্য নির্বাচন দপ্তরে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দেন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে রাজ্য পুলিশ ফোর্স দিয়েই। কিন্তু বিরোধীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবী জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয় রাজভবনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যপালের মুখোমুখি হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কি গ্রহণ করে।অন্যদিকে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ঘিরে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের ডাকে শনিবার তড়িঘড়ি রাজভবনে যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। জানা গেছে রাজ্যে পঞ্চাযেত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি চলছে তা নিয়ে রাজ্যপাল নানা কথাবর্তা বলেন রাজীব সিনহার সঙ্গে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন শুক্রবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে গুলি করে খুন করা খুনের বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে মনোনয়ন পর্বে রাজ্যের শাসক দলের দ্বারা অশান্তির কথা তুলে ধরে। এরপরই কমিশনারকে জরুরি তলব করেন রাজ্যপাল। তবে, কংগ্রেস রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকার বিরুদ্ধে সুর চড়িযেছে। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে অশান্তি, খড়গ্রামে দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে এদিন কংগ্রেস রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে নামে। মনোণয়কে কেন্দ্র করে যে অশান্তি বাড়ছে তার প্রমাণ মিলেছে শনিবারও। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে অশান্তির খবর মিলেছে। আসানসোলের বারাবনিতে তৃণমূল বনাম সিপিএম সংঘর্ষ হয়েছে। লাভপুর, বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থীদের মারধর করা হযেছে বরে অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্রের ফর্ম দেওয়অর কারণে বিডিও অফিসের এক কর্মী মাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে নিগৃহীত হযেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।কোথাও বাম নেতাকর্মীদের আটকে রেখে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর কড়া বার্তা দিয়ে রাজ্যপাল বলেছেন, যে কোনও মূল্যে অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতেই হবে।রাজ্য নর্বিাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল প্রশ্ন তোলেন,মনোনয়নের অশান্তি কেন হচ্ছে। আর এই অশান্তি নিবারণে কিংবা পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করতে পর্যাপ্ত বাহিনী আছে কিনা। কেন্দ্রীয় বাহিনী ডাকার প্রযোজনীয়তা আছে কিনা তাও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে প্রশ্ন রাজ্যপালের। শান্তিপূর্ণ মনোনয়নের দিকে নজর দিক কমিশন, কমিশনকে এই বার্তা দেন রাজ্যপাল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct