সুরাইয়া সুলতানা, হাকিমপুর, আপনজন: ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে পাঁচার রুখতে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা চাইছে বিএসএফ আরো একবার সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। বসিরহাটের স্বরূপনগর থেকে সামশেরনগর পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। যার মধ্যে ১০০ কিলোমিটার জলসীমান্ত ও ৯২ কিলোমিটার স্থলসীমান্ত। বিএসএফের নজর এড়িয়ে মানব পাচার, শিশু পাচার সহ মাদক, সোনা ও রুপো পাচার রুখতে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা চাইলেন বিএসএফের কর্তারা। এদিন বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারালি সীমান্তে গ্রামের শতাধিক মহিলা ও পুরুষদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিলেন ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা। গ্রামের শতাধিক বাসিন্দাদের নিয়ে হাতে-কলমে পাচার রোখার প্রশিক্ষণ দিলেন। ১১২ নম্বর ব্যাটেলিনের কোম্পানি কমান্ডার মনিশ কুমার ও বিএসএফের মহিলা আধিকারিকরা কর্মশালায় মানব পাচার রুখতে বিএসএফের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। গ্রামবাসীদের বোঝানো হয়, সীমান্তের রাস্তায় বা গ্রামে সন্দেহজনক কোন কিছু নজরে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফকে জানান। সীমান্তে বিএসএফ ও গ্রামবাসীরা মিলে এগিয়ে আসলে অনেকটাই পাচার রোখা যাবে বলে মনে করেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা। বারবার সীমান্ত সুরক্ষা একাধিক পাচার নিয়ে রাজ্যের প্রশাসন বিএসএফকে কাঠগড়ায় তুলেছে। এইবার যে সীমান্ত গ্রামবাসীদের নিয়ে পাচার রুখতে যে বিএসএফ কর্মশালা তারই বাস্তব উদাহরণ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct