নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: তীব্র দাবদাহে জলের জন্য হাহাকার। এলাকায় নেই কোন পিএইচই বা সাবমার্সিবল পাম্প। ৫০ টাকা দিয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ এলাকাবাসীর। এদিকে দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু ভোট চলে এলেও জল সমস্যার সমাধান হয়নি। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে হাজির হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাই আর কোন প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করতে নারাজ এলাকাবাসী। শুক্রবার গ্রামীণ সড়ক অবরোধ করে হাঁড়ি, বালতি রেখে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভক্তিপুর দাস পাড়ার বাসিন্দারা। জানা গেছে, শতাধিক পরিবারের বাস ওই এলাকায়। বেশিরভাগ মানুষই কৃষিজীবী। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে।ফলে বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে সাব মার্সিবল পাম্প বা নলকূপের ব্যবস্থা করতে পারেনি। এলাকায় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বসানো হয়নি কোন সাবমার্সিবল পাম্প। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে বারবার বলা হলেও কর্ণপাত করেননি তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই তাই বিক্ষোভের পথ বেছে নিলেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ এলাকার একটি বিদ্যালয় থেকে জল আনতে গেলে সেখানেও বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে দেখা দিয়েছে ব্যাপক জল সংকট। এমতাবস্থায় সমস্যার সমাধান না হলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল পরিচালিত। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও শাসকদলের। যদিও জলকষ্টের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কাবুল দাস। কংগ্রেস এবং সিপিআইএমও কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূলকে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল শুধু কাটমানির ভাগ করতেই ব্যস্ত।কখন মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে তারা জানেন না। ভ্রাম্যমান ট্যাঙ্ক করে জল পৌঁছে দেওয়া হবে এলাকায় আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। গ্রামের বধূ পূর্ণিমা দাস,পুস্পা দাস,কাকলি দাস ও জয়ন্তী দাসেরা জানালেন, গ্রামে অনকে কাজ হয়নি। তবে আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এই গরমে জল পাচ্ছি না। সরকারকে ভাবা উচিত।জলের জন্য অনেকটা দূর মাঠে যেতে হচ্ছে। সেচের জল ঘরে আনত হয় কোনোরকমে। সরকারি ভাবে নেই সাবমার্সিবল পাম্প। কি করে ভোট দেব।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct