আপনজন ডেস্ক: ওড়িশা সরকার শুক্রবার ৬৫ বছরের পুরানো বাহানাগা উচ্চ বিদ্যালয়ভবনটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে, যা করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য অস্থায়ী মর্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।স্কুল ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) সদস্য এবং ওড়িশার গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যখন স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বলেছিল, এটি পুরনো এবং নিরাপদ নয়। আর পড়ুয়ারা স্কুলে ক্লাসে যেতে চাইছে না যেখানে মৃতদেহ রাখা হয়েছিল। মর্গ গড়ে তোলা হয়েছিল। অভিভাবকরাও ভবনটি ভেঙে ফেলার দাবি জানান। কারণ শনাক্তকরণের জন্য মৃতদেহগুলি স্কুলে নিয়ে যাওয়ার ছবি শিশুদের মনে এখনো দাগ কাটছে। তারা ভূতের ভয় করছে। তাই স্কুল কমিটির সিদ্ধান্ত ও অভিভাবক ও স্থানীয়দের অনুরোধের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব সহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। তারপর স্কুলটি পুনর্নির্মাণের অনুমোদন দেন। গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গবেষণাগার ও ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষের মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি মডেল স্কুল করার প্রস্তাবও তিনি অনুমোদন করেন।বৃহস্পতিবার বালাসোরের কালেক্টর দত্তত্রেয় ভাউসাহেব শিন্ডে বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ভবনটি ভেঙে ফেলতে চায়। জেলা কালেক্টর সবাইকে ভয় ও কুসংস্কার না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এর পরিবর্তে তরুণ, প্রভাবশালী মনের মধ্যে বৈজ্ঞানিক মনোভাব গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত।স্কুল ও গণশিক্ষা বিভাগের সচিব এস অশ্বতী বলেছেন, কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মন থেকে ভয় দূর করার জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করবে।২ জুন ট্রেন দুর্ঘটনার দু’দিন পর রাজ্য সরকার স্কুল থেকে মৃতদেহগুলি ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২০০ টিরও বেশি মৃতদেহ শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, তবে ভুবনেশ্বর এইমস মর্গে এখনও প্রায় ৮০ টি বেওয়ারিশ এবং অজ্ঞাত লাশ রয়েছে। গত ২ জুন করমন্ডল এক্সপ্রেস একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এর বেশিরভাগ বগি লাইনচ্যুত হয়। একই সময়ে পাশ দিয়ে যাওয়া বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের শেষ কয়েকটি বগির ওপর থেকে কয়েকটি বগি উল্টে যায়। সব মিলিয়ে এই দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন মারা যান ও ১,২০০ জনেরও বেশি আহত হন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct