মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: ২৬ টি আদিবাসী সংগঠনের ১২ ঘন্টার বাংলা বনধে স্তব্ধ হয়ে গেল জনজীবন। জাতীয় সড়ক কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ থাকলেও পরে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়। রাজ্য সড়ককে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হয়নি। সাধারণ মানুষের কাছে খবর ছিল না এই বাংলা বন্ধের। এর ফলে রাস্তায় বেরিয়ে ব্যাপক দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার ক্ষেত্রেও এই সংগঠনের তরফ থেকে বাধা দেওয়া হয় । বিয়ে বাড়ির গাড়ি কেউ ছাড় দেয়া হয়নি, বিয়ে বাড়ির গাড়িতে বহুক্ষন মহিলা ও শিশুরা আটকে থাকার ফলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন । অনেক ক্ষেত্রেই জরুরি পরিষেবার গাড়ি ,অক্সিজেনের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। মারা গেছেন সেখানে যাবেন সেই গাড়িগুলো আটকানো হয়েছে। কিছু শুভবুদ্ধি সম্পূর্ণ আদিবাসী মানুষ থাকলেও বহু মানুষম মদ্যপ অবস্থায় সাধারণ মানুষের উপর গাড়ির উপর অত্যাচার করে। প্রশাসন অসহায় হয়ে পড়ে কিছু করার ছিল না। তীর তরোয়াল কাস্তে কাটারি বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জাম নিয়ে বর্ধমান আরামবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ রোডসহ পূর্ব বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছেলে বুড়ো মহিলা আদিবাসীরা রাস্তায় বসে পড়ে। ক্যাম্প করে ১২ ঘন্টা যানবাহন বন্ধ করে রাখে । রাস্তায় বেরিয়ে অসহায় পড়ে সাধারণ মানুষ। আদিবাসী নেতা সিধু হাঁসদা সাধারণ মানুষের অসুবিধার জন্য দুঃখ: প্রকাশ করেন । তিনি বলেন যারা আদিবাসী নয় তারা আদিবাসী হতে কর্মী ও মাহাতোদেরকে আমরা কোনভাবেই আদিবাসী হতে দেব না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে তিনি হুঁশিয়ারি দেন । তিনি বলেন কুর্মি ও মাহাতোদেরকে আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে তারাও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। প্রয়োজনের রক্ত দিতেও তারা দ্বিধাও বোধ করবেন না। বন্ধের আগাম প্রচার না থাকায় সাধারণ মানুষ ব্যাপক অসুবিধার সম্মুখীন হোন। প্রচন্ড গরমে বহু সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টায় আটকে অসুস্থতা বোধ করেন । প্রয়োজনীয় খাবার এবং জল না পাওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুসছে ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct