আপনজন ডেস্ক: সাক্ষাৎকার কিংবা বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমেই বর্তমান কর্পোরেট বিশ্বে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে খুব শিগগিরই কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ডেটা ব্যবহার করা হতে পারে। এমনকি নিয়োগ দেওয়ার পরও ‘মস্তিষ্ক মনিটরিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মীর দিকে নজরদারি করা হতে পারে। ‘নিউরোডেটা’ বা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য নিয়ে ‘টেক ফিউচারস: নিউরোটেকনলজি’ নামে নিজেদের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ তথ্য কমিশনারের অফিস (আইসিও)। তারা বলছে, এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে বিকাশ বা ব্যবহার না করলে ‘বৈষম্যের’ মতো ঝুঁকি থাকতে পারে। আইসিও’র নির্বাহী পরিচালক স্টিফেন আমন্ড বলেন, এরই মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাত, যেখানে কঠোর নীতিমালা রয়েছে, সেখানে ‘নিউরোটেকের’ ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি আমাদের দেখা বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে এই খাতে বিনিয়োগ ও পেটেন্ট উভয় ক্ষেত্রেই বেশ দ্রুত বাড়ছে।প্রায় এক যুগ আগে সাইক্লিং দুর্ঘটনায় পা হারানো গার্ট-জ্যান অসকামের মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক ইমপ্ল্যান্ট বসানোর পর তিনি নিজের হাঁটার সক্ষমতা পুনরায় ফিরে পান। আর এই প্রযুক্তিতে বাণিজ্যিক আগ্রহও বেড়েছে। আইসিও’র অনুমান বলছে, চার থেকে পাঁচ বছরে ‘কর্মী ট্র্যাক করার’ ব্যবস্থা বিস্তৃত হলে কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত নিরাপত্তা, উৎপাদনশীলতা ও নিয়োগের বেলাতেও ‘নিউরো’ প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে। তারা ২০২৫ সাল নাগাদ নতুন নিউরোডেটা নির্দেশিকা তৈরির কাজ শেষ করতে চায়। ইলন মাস্কের নিউরালিংকের মতো কোম্পানিগুলো মানব মস্তিষ্কে কম্পিউটার সংযোগের বিষয়টি নিয়ে বহুদূর এগিয়েছে। এরই মধ্যে মানুষের ওপর স্থাপনযোগ্য ‘ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেইস’ পরীক্ষার অনুমতিও পেয়েছে সংস্থাটি। তবে এখনো এর বাণিজ্যিকভাবে কোনো ভিত্তি না থাকলেও কোম্পানির বাজারমূল্য পাঁচশ কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct