নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: সোমবার সন্ধ্যায় লোডশেডিংয়ের নেতা একটা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন। সম্পূর্ণ একটা মানসিক ভারসাম্যহীন পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেছেন বালসরে ঘটনায় তৃণমূলের হাত রয়েছে। এই ভারসাম্যহীন পরিচয় দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা। পাগলের ট্রিটমেন্ট দরকার। এটা কেউ বলতে পারে । ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে, বিরোধী দলনেতার করা বিতর্কিত মন্তব্যের পাল্টা প্রশ্ন মঙ্গলবারে এভাবেই ছুড়ে দেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন,শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন যে দুই রেল কর্তা কথার ভিত্তিতে তিনি বলেছিলেন। কালকে শুভেন্দু ,আগ্নিমিত্র পল, আরো বিজেপি নেতা পাগলের মত লাফাচ্ছিল যে ফোন অডিও গেল কি করে। তার একটা বক্তব্যর ভিডিও দেখিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন যে কে কাকে ফোন করে সেটা তার কাছে আছে । তাহলে কি এটা কি পেগাসাস? প্রশ্ন তোলেন কুণাল। কেন্দ্রীয় সরকার আছে বলে আছে। এই কথা এবং আরো কিছু তার বক্তব্য ফলে তার নামে তুমলুকে একটা এফ আই আর হয়েছে। যে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে তার কাছে সেই তথ্য আছে। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে এটা নিয়ে ১৯/৭/২১ তিনি বলেছিলেন যে কেন্দ্র সরকার আছে আমার কাছে সব তথ্য আছে। পরবর্তীকালে ২২ ডিসেম্বর বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা তদন্ত স্থগিত করে দেন। এই মারাত্বক অভিযোগের তথ্য কে করল শুভেন্দু অধিকারী। আর সেটা আটকে রাখলেন বিচারপতি মান্থা। তার সুযোগ নিয়ে বাকি দের কাদা ছুঁড়ছে শুভেন্দু। বিচারপতির অবিলম্বে এই রক্ষা কবজ তুলে নেওয়া উচিত বলে জানান কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, সিবিআই আমাকে ডাকলে যাব তাতে কি। এই ফোন ক্লিপ কে বাইরে এনেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে নন্দীগ্রাম এবং কোচ বিহারের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা রেকর্ড কে করেছে ? বিজেপি। তিনি বলেন যে ,আমরা দাবি করছি যে এই ভয়ঙ্কর বিষয়। এটা নিয়ে কেনো তদন্ত বন্ধ রেখেছিল কলকাতা হাই কোর্ট প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ। কুণাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন যে সিবিআই আর ইডি দেখিয়ে তুমি সুর ছড়ালে আমরাও আইনের মধ্যে দিয়ে দেখিয়ে দেব । কুণালের দাবি অবিলম্বে সারদা কর্তার চিঠি কে ভিত্তি করে সিবিআই শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে তদন্ত করুক । তাকে এবং তার ভাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত।আমরা সেদিন থেকে বলছি রেলের ভয়ংকর গাফিলতি সামনে চলে এসেছে। রেলের বিষয়ের সঙ্গে সিবিআই যারা ক্রিমনাল বিষয়টা দেখে। এটা রেলের থেকে নিয়ে সিবিআই কে তদন্ত দেওয়া মানে দেখা কিছু লুকিয়ে আছে কি না। এটা একটা সংশয় বিষয়। যে ভাবে সেন্ট্রাল এজেন্সিকে বিজেপি নিজের রাজনীতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ব্যাবহার করছে অভিযোগ কুণালের। কুণাল ঘোষ জানান,কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজরা কোটি টাকা পাওনা। কেন্দ্রের তহবিল মনে কেন্দ্রের টাকা নয়। রাজ্য থেকে কেন্দ্রে টাকা যাচ্ছে। ১০০ দিনের কাজে এই কেন্দ্র প্রথম পুরুসকার দিয়েছে। নোংরা রাজনীতি হচ্ছে এটা আমরা দেখব। এক লক্ষ কাজ করেছেন পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। বাংলা আপনাদের হারিয়ে দিয়েছেন বলে আপনারা রাজ্য সরকারকে বঞ্চিত করছেন। কিন্তু বাংলা সরকার দলমত নির্বিশষে সবাইকে প্রকল্পের সুবিদা দেয় । মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। টাকা বন্ধর জন্য বালেশ্বরের ঘটনায় দেখা গেছে যে বাইরে কাজ করার জন্য যাচ্ছিলেন। বাংলায় এই প্রথম বোমা উদ্ধার হয়েছে। এটা নয় বাম যামানার রশিদ খানের আড্ডায় বামফ্রন্টের আমলে উদ্ধার হয়েছে। কিছু বোমা উদ্ধার হচ্ছে সেটা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। আগে থেকে অনেক কমেছে। শোভন দা অভিজ্ঞ ব্যাক্তি কিন্তু কারণ ওই ভাবে বলা সম্ভব নয়। অন্য রাজ্যের থেকে দুষ্কৃতীরা এসে বোমা ফাটাচ্ছে পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মলয় ঘটক নিয়ে দেখা যায় যখন এই ধরেন অসুবিধায় পড়ে বিজেপি তখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে মলয় ঘটক কে দিল্লি টে ডাকা নিয়ে বলেন কুণাল ঘোষ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে নিয়ে রাজনীতি কোনো মানুষ করতে পারেনা। দিলীপ বাবু এই সব কথা অমানবিক । তিনি তো এই রাজ্যের অভিবাবক তাহলে তিনি ছুটে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। এর জন্য তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে জিতিয়েছেন মানুষ। সিবিআই তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন এই জিনিস বলতে ৭২ ঘণ্টা লাগত না। তিনি তখনই বলেননি কেনো। তাহলে কি কোনো একটা গল্প তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। যখন প্রাথমিক তদন্ত হল তখন তিনি বলেন না কেন। এটা নিয়েই তো তদন্ত হাওয়া উচিত। যদি গাফিলতি ধাপাচাপা দেওয়া জন্য যদি সিবিআই তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। তাহলে অনেক প্রশ্ন উঠবে। অন্তর্ঘাত আর অন্যদের ঘাড়ে দিয়ে গাফিলতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। রুজিরা নিয়ে তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন অভিষেক যখন জনজোয়ারে আছে। একটা ভয়ংকর রেল দুর্ঘটনা হয়েছে। তখন তদন্তের সময় নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। এর আগে রুজীরা যখন ৫/১০/২২ তে তিনি আমেরিকা থেকে ঘরে এসেছিলেন তখন তো তাকে ডাকা হয়নি। আজকে যখন অভিষেকের জনযোয়ার হচ্ছে তখন তাদের কে মনে হচ্ছে রূজিরা কে ডাকতে হবে বলে তাদের মনে হল।বিজেপি যখনই গাড্ডায় পড়ে তখন গণসংগঠানের মত ব্যাবহার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের। পুলওয়ামা গিয়ে তদন্ত করে বলুন না কি হয়েছিল। তারা বিপদে পড়লেই তখন এজেন্সিকে সামনে নিয়ে আসে। অভিষেক বিজেপি নেতাদের থেকে অনেক কম তার স্ত্রী কে নিয়ে যে নেতা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। মানুষ তার প্রতিক্রিয়া তাদের কে দিয়ে দেবে। ১ হাজার লোক নেই বিজেপি । তারা বলছে ১ হাজার সভা করবে। যে দল কমিটি করলে বলে ফোন করুন । লোক নেই জন নেই অবার ওদের অবার মিটিং। গুরু গাড়ির হেড লাইট বলে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। আই এস এফ নেতা নউশাদ কে নিয়ে তৃণমূল নেতা নিয়ে বলেন যে মিঠুন চক্রবর্তী সিনেমা দেখে হয় তো সে নেতা প্রভাবিত হয়েছে। রাজ্যপালের ক্যানিং যাওয়া নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন যে রাজ্যপাল নিজের মতো গিয়েছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেই সারা রাত ধরে ছিলেন সমস্ত বিষয় নিজের তাদারাতি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিষয় নিয়ে কোনো তুলনা হয় না বলে জানান কুণাল ঘোষ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct