মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: আউসগ্রামের তৃণমূল নেতা আবদুল লালন দাতা লালন হিসাবে গোটা পূর্ব বর্ধমানের পরিচিত। তার কাছে সাহায্য চেয়ে কেউ সাহায্য পায়নি এরকম ঘটনা আউসগ্রাম এলাকায় শোনা যায় না। তিনি সর্বদা মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। উড়িষ্যার বালেশ্বরে ট্রেন দূর্ঘটনায় মারা যান পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রামের এড়াল গ্রামের বিনয় রাজা(৪০)। চেন্নাই-এ একটি কোম্পানিতে কাজ করার জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। জানা গেছে ট্রেন দুর্ঘটনার দুই ঘন্টা আগেও স্ত্রীর সাথে কথা হয় তার। দুর্ঘটনার পর থেকে আর যোগাযোগ সম্পন্ন হয়নি বিনয় রাজার সাথে তার পরিবারের। পরে মৃত্যুর খবর পায় পরিবারের সকলে। শোকে নিশ্চুপ বিনয় রাজার স্ত্রী চুমকি। আউসগ্রাম ২ ব্লকের প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি সেখ আব্দুল লালন ঘটনার কথা জানতে পেরে ৬টি অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে মঙ্গলবার তার বাড়ীতে ফল, ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করে সমবেদনা জানান। বিনয় রাজার স্ত্রী চুমকি ও তার সাত বছরের শিশুকে সান্তনা দেন লালনবাবু। তবে স্ত্রীর দূঃখ,বিনয় রাজা হাওড়ায় টিকিট কেটে ছবি পাঠিয়ে আমাকে বলেছিলেন কটকে গিয়ে সুখবর দেবো। কিন্তু সেই সুখবর আর শোনা হলো না। তার মাঝেই আমার জীবন থেকে উনি চলে গেলেন। এখন এই সাত বছরের শিশুকে নিয়ে আমার ভবিষ্যৎ খুজে পাচ্ছি না। সেখ লালন জানান, সরকারী আর্থিক সহযোগিতা ও তার চাকরীর ব্যাবস্থা এমনকি শিশুটিকেও কোন ভালো জায়গায় পড়াশোনার ব্যাবস্থার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। এই পরিবারের শোকের অংশীদার হিসাবে ৬টি অঞ্চল থেকে সমবেদনা জানানোর সময় বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার টেলিফোনে সমবেদনা জানান। আব্দুল লালনের এমন কর্মকান্ডে এই পরিবারের মানুষ খুশি হয়েছেন বলে জানা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct