আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: নদিয়া জেলার শান্তিপুরে মুসলিম কবরস্থান থেকে মৃতদেহর মুন্ডু কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য। এলাকার কবরস্থান কমিটির সদস্যরা একাধিকবার শান্তিপুর থানা ও পৌরসভায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে এমনটাই অভিযোগ করছেন কবরস্থান কমিটির সদস্যরা। কবরস্থান কমিটির সভাপতি স্বাধীন শেখ বলেন, কয়েক বছর ধরে থানায় মোট পাঁচটি কবরস্থান থেকে মৃতদেহর মুন্ডু কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা, সেই ঘটনায় এলাকাবাসীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাদের দাবি মৃতদেহ কবর দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে অন্ধকারে কবর খুঁড়ে মুন্ডু কেটে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ছয়টা নিয়ে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ করে এবং একাধিকবার প্রতিবাদ করলেও পুলিশ ও পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান। পৌরসভার পাড়া এলাকার বাসিন্দা বাপন সেখ নামে এক কিশোর মৃতদেহ দাফেনের করা হয়।পাসে করব খুড়তে গেলে দেখা যায় পার্শ্ববর্তী একটি কবররে মৃতদেহ থেকে মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতী।বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন কবরে থেকে মৃতদেহ মুন্ডু কেটে নিয়ে যাচ্ছে। শান্তিপুর পৌরসভার মোট পাঁচটি কবর অবস্থান রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বড় কবরস্থান আনুমানিক প্রায় ৬০ বিঘা সম্পত্তি রয়ছে।শান্তিপুর নতুন হাট মজসিদ কমিটির সম্পাদক শরিফাত উল্লাহ বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে কবরে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ মুন্ডু কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা সোমবার এক যুবকের মৃত্যু এবং তার মৃতদেহ কবর দিতে গিয়ে দেখি গত কয়েকদিন এক কিশোর কবর থেকে মুন্ডু কেটে নিয়ে গেছে। এই বিষয়ে আমারা বেশ কয়েকজন মিলে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগে করলে পুলিশ পক্ষ থেকে কবরে স্থানের পাশে পুলিশ করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ কবরস্থানে নেই কোন লাইটের ব্যবস্থা নেই কোন গেট কবর স্থান কমিটির পক্ষ থেকে পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে যোগ করলে কোন ব্যবস্থা করে না শুধুমাত্র আশ্বাস দেয় তারা যেহেতু কবরস্থানটা পৌরসভার অধীনে রয়েছে কবরস্থান কমিটির পক্ষ থেকে নাইট গার্ড রাখার কথা বলে এবং তাদের সমস্ত খরচা বহন করবে কবরস্থান কমিটি। কোন বিষয়ে উদ্যোগ নেয় না পৌরসভা থানায় বিষয়টা জানানো হলে পুলিশের পক্ষ থেকে সেখানে কয়েকজন পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের রাখা হয়েছে কিন্তু কতদিন এভাবে রাখবে সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে কবরস্থান কমিটির সদস্যরা। পৌরসভার অবহেলায় দিনের পর দিন কবরস্থান থেকে মৃতদেহর মুন্ডু কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। একাধিকবার আন্দোলনে নেমেছিল কমিটির সদস্যরা। শান্তিপুরে মোট নয়টি মসজিদ ও একাধিক কবরস্থানে রয়েছে। কবরে মৃতদেহ মুন্ডু কাটার ঘটনায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কবরস্থান কমিটির সদস্যরা।শান্তিপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct