নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: মঙ্গলবার রাজ্যে এসে পৌঁছলেন ১০ জনের ইডির একটি স্পেশাল টিম। এদিন তারা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোজা যান সল্টলেক এর সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে শুরু হয় ম্যারাথন বৈঠক। গত দুদিন আগেই টানা তিন দিন মহানগরীতে থেকে ম্যারাথন বৈঠক করে ফিরে গিয়েছেন ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্র। যাওয়ার আগে সিজিও কমপ্লেক্সের তার দপ্তরের অফিসারদের বেশ কিছু নির্দেশ দিয়ে গেছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কয়লা পাচার কান্দে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। অন্যদিকে মঙ্গলবার কলকাতায় এসে উপস্থিত হয়েছেন এনআইএ -র সর্বময় কর্তা ডিজি দিনকর গুপ্তা। তিনিও কলকাতায় পা দেখে এনআইএ দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে শুরু করেছেন ম্যারাথন বৈঠক। সূত্রের খবর অনুযায়ী , এগরা মহেশতলা ,মালদা সহ রাজ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কিছু বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত করছে এন আই এ। একই সঙ্গে একবালপুরের সংঘর্ষের ঘটনাতেও এনআইএ তদন্ত অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এইসব ঘটনার বর্তমান পরিস্থিতি কি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কি কি নিতে হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে কলকাতায় এসেছেন ডিজি এনআইএ।
মঙ্গলবার একই দিনে কাকতালীয় ভাবে ইডির স্পেশাল টিমের পদার্পণের পাশাপাশি ডিজি এনআইএ - র আগমন যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সোমবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে স্পষ্ট বলতে শোনা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী তার থেকে বয়সের অনেক বড় হয়েও তিনি রাজনৈতিক নিশানা করছেন তার স্ত্রী পুত্র ও কন্যাকে। অভিষেক স্পষ্ট হুমকির সুরে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন তার স্ত্রী রোজিনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করলেও তিনি মাথা নোয়াবেন না। সোমবার অভিষেকের স্ত্রী নিজের শিশু পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে বেড়াতে দুবাইয়ে যেতে চান কিন্তু তার নামে লুকআউট নোটিশ আছে এই বলে কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন দপ্তর সেই যাত্রা রুখে দেয়। এই প্রসঙ্গে সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, অতি দ্রুত তারা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঘৃত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটে কাকুর মুখোমুখি বসাতে চান বেশ কয়েকজনকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পাশাপাশি কয়লা ও গরু পাচার কান্ড ইডি অতি দ্রুত তদন্ত গোটাতে চায়। এদিকে একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী থাইল্যান্ডে পানামা কেলেঙ্কারির তদন্তে ইতিমধ্যে দুজন ব্যবসায়ীকে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। কৃতদের নাম সঞ্জয় মুরাকার ও শিবদাস মুরাকার। এই দুই ব্যবসায়ীর সম্পত্তি মূলত কলকাতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাতে রয়েছে এদের এই আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে কলকাতার এক হেভি ওয়েটের সংস্থার যোগসূত্র রয়েছে বলে ইডি জানতে পেরেছে। সেই হেভি ওয়েটের নাগাল পেতেই এবার সিজিও কমপ্লেক্স মরিয়া।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct