আপনজন ডেস্ক: ওড়িশায় রেল দুর্ঘটনার পিছনে সম্ভাব্য "নাশকতা" এবং ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের সমস্যার ইঙ্গিত দিয়ে রেলওয়ে কার্যত চালকের ত্রুটি এবং সিস্টেমের ত্রুটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানাগা বাজার রেলস্টেশনে করমন্ডল এক্সপ্রেস (শালিমার-মাদ্রাজ) এবং যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের কোচের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের পর মৃতের সংখ্যা সর্বশেষ ২৭৫ জন। রাজ্য সরকার শনিবারের মৃতের সংখ্যা ২৮৮ থেকে ২৭৫-এ নেমে এসেছে এবং বলেছে যে অল্প কিছু মৃতদেহ দু'বার গণনা করা হয়েছে। গত ৪ জুন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ওড়িশার বালাসোর জেলায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করলেও রেলবোর্ড নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাথমিকভাবে এটিকে "হস্তক্ষেপের সংকেত" বলে অভিহিত করেছে। বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে রেল। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন যে দুর্ঘটনার "মূল কারণ" এবং "অপরাধমূলক" কাজের পিছনে থাকা ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, রেলওয়ে বোর্ড ওডিশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) তদন্ত চায়। রবিবার করমন্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের বগির ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে আরও পাঁচজনের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার হয়।এদিন সাংবাদিকদের অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, উদ্ধারকাজ শেষ। এখন রেললাইন ও বৈদ্যুতির তার মেরামতের কাজ চলছে। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বরের পুলিশ কর্মকর্তা প্রতীক গীতা সিং জানান, গত শুক্রবার ৩টি ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৬০ জনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এর মধ্যে ১০০ লাশ ভুবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে (এআইআইএমএস) রাখা হবে। বাকি লাশগুলো ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজে রাখা হবে।শালিমার-চেন্নাই করোমন্ডল এক্সপ্রেস ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানাগা বাজার স্টেশনে মূল লাইনের পরিবর্তে ভুল ট্র্যাক নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের সাথে ধাক্কা খায়। করোমন্ডল এক্সপ্রেস পুরো গতিতে যাচ্ছিল কারণ এটি স্টেশনে থামানোর কথা ছিল না। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং এর মধ্যে তিনটি পার্শ্ববর্তী ট্র্যাকে পড়ে, যার মধ্য দিয়ে একই সময়ে যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস যাচ্ছিল। যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের পিছনের দুটি বগিও লাইনচ্যুত হয়।ওড়িশা সরকার হেল্পলাইন ০৬৭৮২-২৬২২৮৬ চালু করেছে। রেলওয়ের হেল্পলাইনগুলি হল ০৩৩-২৬৩৮২২১৭ (হাওড়া), ৮৯৭২০৭৩৯২৫(খড়গপুর), ৮২৪৯৫৯১৫৫৯ (বালেশ্বর) এবং ০৪৪ ২৫৩৩০৯৫২ (চেন্নাই)।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct