রহমতুল্লাহ, মুর্শিদাবাদ, আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলা মানেই ইতিহাস কথা বলে। মুর্শিদাবাদে নবাবদের আম চাষের খুব সখ ছিল, দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হরেক রকমের বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ এনে নিজেদের বাগানে লাগতো, সোনা যায় নবাবদের বাগানে, দুই সতাধিক প্রজাতির আম গাছ ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, অনেক আম গাছ কেটে দিয়ে বস্তি গড়ে উঠছে। কিন্তু বাগানের অস্তিত্ব থাকলেও হরেক রকমের আম গাছের দেখা পাওয়া যায় না। ফলে নবাবদের পছন্দের একাধিক প্রজাতির আম, মুর্শিদাবাদের মাটি থেকে হারিয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু প্রজাতির আম সংকটে। নবাবি আমলের বিভিন্ন প্রজাতির আমের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে, প্রায় আড়ায় দশক ধরে, সংরক্ষনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ, বাগডহরের আমচাষী তথা গবেষক কুশল ঘোষ। গ্লাপস্টিক প্রক্রিয়ায় একই গাছে সর্বাধিক ১৬৫ প্রজাতির আমের ফলন করিয়ে রীতিমতো নজির সৃষ্টি করেছেন গবেষক কুশল ঘোষ। তিনি নাকি সংকরায়নের মাধ্যমে , বেল চম্পা, ল্যাম্বো, শ্যাম ভোগ, প্রকৃতি নতুন প্রজাতির আম উৎপন্ন করেছেন, মিশ্র প্রজাতির আমগুলো স্বাদে, ও সুগন্ধে অতুলনীয় বলে দাবি করেছেন তিনি। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ শহর, বাগডহর মোর থেকে উত্তরে ১০০ মিটার দূরে, কুশল ঘোষের আমবাগান , জিয়াগঞ্জ, লালবাগ, ডোমকল, জঙ্গীপুর বহরমপুর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আম বাগান থাকলেও বাগডহরের কুশল বাবুর আম বাগান উদ্ভবনী বৈশিষ্ট্যের স্বতন্ত্র । বাগানের বেশ কয়েকটি আম গাছে , কোনোটি ১৬৫ প্রজাতির আম গাছ, আবার কোনটিতে দেখা যাচ্ছে ১৩০ প্রজাতি, আবার কোনটিতে ১০০ টি প্রজাতির আম ফলিয়েছেন বলে দাবি করছেন তিনি। কুশল ঘোষের এই অভিনব উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct