আপনজন ডেস্ক: একজন নারী জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অনুভূতি হচ্ছে মা হওয়ার অনুভূতি। সন্তান ধারণের এই নয় মাস নারীর জীবনে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। এতে যেমন শারীরিক পরিবর্তন আসে, একইভাবে মানসিক পরিবর্তন আসে।ঠিক সেই সময় স্বামী হিসেবে প্রথমেই আপনাকে আপনার স্ত্রীর এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আপনার স্ত্রী যে আপনার জীবনের অসাধারণ এক প্রাপ্তি তা তাকে অনুধাবন করান। এই সময়ে নারীর শারীরিক পরিবর্তন যেমন ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। এতে আপনার স্ত্রী হয়তো নিজের শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতে পারেন। এ সময় আপনি তার প্রশংসা করুন। এতে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। স্ত্রীকে নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়াবার দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। এতে আপনার স্ত্রী অনুভব করবে, আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রথম ১৮ সপ্তাহের মধ্যে একবার, ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে একবার, ২৪ থেকে ৩৬ সপ্তাহের মধ্যে একবার, ৩৬ সপ্তাহের পর থেকে প্রতি সপ্তাহে একবার করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। বাড়িতে স্ত্রীকে নানান কাজে সাহায্য করুন। এ সময় শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত থাকে বিশেষ করে প্রথম ভাগে (ফার্স্ট টার্ম) ও তৃতীয় ভাগে (থার্ড টার্ম) আপনার স্ত্রী যেসব ঘর ও গৃহস্থালীয় কাজ নিজ হাতে সামলাতেন সে কাজগুলোতে যেমন ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা, রান্নাবান্নাতে সাহায্য করুন। এ সময় নারীর মানসিক অবস্থা যখন তখন পরিবর্তিত হয়। মন খারাপ লাগা, উত্তেজিত হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক এ সময়। আপনার ভালোবাসা স্ত্রীর এ ধরনের পরিবর্তন সামাল দিতে পারে। এ সময়ে আপনার স্ত্রীর নামে কোনো অভিযোগ করবেন না। আপনার স্ত্রী হয়তো আগে সংসারে অনেক কিছুই নিজে দায়িত্ব নিয়ে করতেন। এখন হয়তো সেগুলো সেভাবে হচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে কোনো অভিযোগ করবেন না। বরং আপনি তাকে বোঝান, তার জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। সম্ভাব্য ডেলিভারির তারিখ মাথায় রেখে অন্তত একমাস আগে থেকেই প্রস্তুত থাকুন। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, দেখবেন কোনও সমস্যা থাকবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct