এম মেহেদী সানি, কলকাতা, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজ যাত্রীরা হজ করার উদ্দেশ্যে সৌদি অভিমুখে রওনা শুরু করেন গত ২১ মে থেকে। কিন্তু রাজ্যের হজ যাত্রীরা মদিনায় পৌঁছলেও তাদের নির্দেশনা ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা খাদিমুল হুজ্জাজরা ভিসা না পাওয়ায় যেতে পারছিলেন না। যার ফলে মদিনায় বাংলা থেকে যে সব হজযাত্রী গিয়েছেন তারা সেখানে গিয়ে নানা সম্মুখীন হচ্ছিলেন। অবশেষে সেই সমস্যায় সমাধান হল। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৪ জন খাদিমুল হুজ্জাজ ভিসা পাওয়ায় তারা সৌদি আরবে পাড়ি দিলেন। তারা মঙ্গলবার মদিনায় পৌঁছেছেন বলে রাজ্য হজ কমিটি সূত্র জানিয়েছে। এ ব্যাপারে হজ কমিটির কার্যনির্বাহী আধিকারিক মোহাম্মদ নকি আপনজন-কে জানিয়েছেন, এ বছর বাংলা থেকে মোট ১৯ জন খাদিমুল হুজ্জাজ রাজ্যের হজযাত্রীদের সেবার জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। মঙ্গলবার ১৪ জন খাদিমুল হুজ্জাজ মদিনায় পৌঁছেছেন। বাকি পাঁচ জন খাদিমুল হুজ্জাজ বৃহস্পতিবার সৌদি পৌঁছবেন।মোহাম্মদ নাকি আরও জানান, খাদিমুল হুজ্জাজ হিসাবে যারা যাচ্ছেন তাদেরকে আমরা বলেছি তাদের ফোন নাম্বারটা ইন্টারন্যাশনাল রোমিং করে নিতে যাতে বাংলার হজযাত্রীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং যদি কোনো সমস্যা থাকে সেকথা জানাতে পারেন।
তাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে ১৪জন খাদিমুল হুজ্জাজ সৌদি আরবে গেছেন তাদের ফোন নম্বর সহ নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ভিসা সমস্যা মিটিয়ে খাদিমুল হুজ্জাজরা মদিনায় পৌঁছনয় সেখানে যাওয়া বাংলার হজযাত্রীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। অন্যদিকে, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাংলার হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রাজ্য হজ কমিটির কার্যনির্বাহী আধিকারিক মোহাম্মদ নকি বলেন, কি জন্য এই বিষয়টি ঘটেছে তা জানতে আমরা রাজ্য সংখ্যালঘু দফতরকে চিঠি করেছিলাম। বিষয়টি সংখ্যালঘু দফতর রাজ্যের মুখ্য সচিবকে অবগত করেছে । নকি জানান, বাংলার হজযাত্রীদের ২০২২ এ হজে যাওয়ার জন্য যা খরচ লেগেছে তার থেকে এ বছর তুলনামূলক ভাবে কম লাগছে। ২০২২ এ লেগেছিল ৪ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা, ২০২৩ এ লাগছে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা। তবে এবছর বেশ কিছু জিনিস দেওয়া হচ্ছে না যেগুলো ২০২২ সালে দেওয়া হয়েছিল। সেই সব জিনিস যদি দেওয়া হয় তাহলে এবছরও ৪ লক্ষ ১৯ হাজার টাকাই দাঁড়াবে। নকি আরো জানান, সাত আট বছর ধরে আমরা দেখেছি প্রতি বছর হজের খরচ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। সেই অনুযায়ী দেখতে গেলে ২০২২ এর তুলনায় ২০২৩ এ ভাড়া বাড়েনি। তবে এইবার ব্যতিক্রমী যেটা হল গত বছর পর্যন্ত সারা দেশে একটি মাত্র টেন্ডার হতো। কিন্তু এবার প্রত্যেক এমবারকেশনের জন্য আলাদা আলাদা টেন্ডার হয়েছে। এই সমস্ত টেন্ডারের নিরিখে হায়দ্রাবাদ বেঙ্গালুরু মুম্বাই এই তিনটি জায়গায় টেন্ডার রে টা কম পড়েছে। সেটা আনঅফিশিয়ালি শুনতে পাচ্ছি ওরা জিএসটির একটা ধরেনি সেজন্যই অনেকটাই কম হয়েছে। কিন্তু কলকাতা নিরিখে ২২ শে যা ছিল তেইশে কিন্তু কম বেশি একই আছে। বাকি যে তিনটি জায়গার দিকে আমরা তাকাচ্ছি সেটা দেখে আমরা ভাবছি আমাদের রেটটা অনেক বেশি হয়ে গেছে। ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন মহলের ক্ষোভ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ নাকি জানান মানুষের ক্ষোভ তো অবশ্যই আসবে, কিন্তু এ রাজ্যের ক্ষেত্রে ২০২২ তুলনায় ২০২৩-এর রেটটাও সমান রয়েছে কিন্তু অন্য তিনটি জায়গায় রেট কম পড়ে যাওয়ায় আমাদের মনে হচ্ছে আমাদের রেটটা অনেকটা বেশি হয়ে গেছে এই জিনিসটাই হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct