সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: বাবা ক্ষুদ্র কৃষক, বাড়িতে অ্যাসবেস্টর, বাঁশের বেড়া। দারিদ্রতাকে সঙ্গী করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ের সাকিবা খাতুন। কলা বিভাগেই পড়ে তিনি পেয়েছেন ৪৮৫ নাম্বার। নাম্বারের নিরিখে রাজ্যে সাকিবার স্থান দ্বাদশ। সাকিবা খাতুনের বাড়ি ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের চন্দনেশ্বর ১ নম্বর অঞ্চলের বনগ্রামে। বাবা সাহারালী ঘরামী পেশায় ক্ষুদ্র কৃষক। মা আলেমা বিবি গৃহবধু। একমাত্র ভাই সাহালী ঘরামি চন্দনেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়েই নবম শ্রেণিতে পাঠরত। সাকিবা খাতুন ২০২৩ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন চন্দনেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। প্রায় ৯৭ শতাংশ নাম্বার তার। ইংরেজি বিষয়ে ১০০ তে ১০০ পেয়েছে তিনি। আপনজন প্রতিনিধিকে সাকিবা জানায়, আমি ৬ থেকে ঘন্টা করে পড়তাম। পড়াশোনা ছাড়াও আমি কবিতা আবৃত্তি, গান গাওয়া, ছবি আঁকা চর্চা করি। ভবিষ্যতে আমি ইংরেজি বিষয় পড়াশোনা করে অধ্যাপিকা বা শিক্ষিকা হতে চাই। আমি চাই অধ্যাপিকা বা শিক্ষিকা পেশা গ্রহণ করে সকলকে শিক্ষিত করে তুলতে। তাদেরকে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে এবং তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে। আমার সাফল্যে পরিবার, স্কুল ও টিউশন সেন্টারের বিশেষ ভুমিকা রয়েছে।বাবা সাহারালী ঘরামি আপনজন প্রতিনিধিকে বলেন আমি কষ্ট করে মেয়েকে পড়িয়েছি। ভবিষ্যতেও পড়াতে চাই। সহযোগিতা পেলে ভালো হয়।সাকিবা প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুর রশিদ মোল্লা বলেন, সাকিবা পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় তার মেধার পরিচয় দিয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct