আপনজন ডেস্ক: এ রাজের হজযাত্রীদের হজে যাওয়ার উড়ান সূচি পরিবর্তন ঘিরে এবার বিক্ষোভের মুখে পড়ছে নিউটাউনের মদিনাতুল হুজ্জাজ। বিক্ষুব্ধ হজযাত্রীরা মদিনাতুল হুজ্জাজ ঘিরে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করলেও হজে যাওয়ার উড়ান সুচি পরিবর্তনের এখনও তেমন কোনও সুরাহা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির দফতর সূত্রে খবর, বাংলার হজযাত্রদের বিমানের সূচি পরিবর্তন ও ভিসা সমস্যার সমাধানে মুম্বাই থেকে কেন্দ্রীয় হজ কমিটির তরফে আধিকারিকরা এসেছেন। কিন্তু তাদের কাছে আপাতত কোনও সমাধান মিলছে না বলে খবর। তাই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন যেসব হজযাত্রীর উড়ান সূচি পরিবর্তন করা হচ্ছে মূলত তারাই। শনিবার মদিনাতুল হুজ্জাজে বিমানের তারিখ ও সময় পরিবর্তন ঘিরে এক সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কিছু হজযাত্রী। সূত্রের খবর, ২৯ মে ৩২৬টি সিটের চারটে ফ্লাইট দেওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করেই ২৯৬ সিটের ফ্লাইট বরাদ্দ করে ওই দিন। তার ফলে বাকি হাজীদের কোন ফ্লাইটে দেওয়া যায় সেই নিয়ে চরম বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন ফ্লাইট বুকিং অফিসাররা। হাজীরাও বুঝতে পারছেন না কি করবেন। অন লাইনে ফ্লাইট নং এবং সময় এক দেখালেও বুকিং-এর সময় ফ্লাইট বদলে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে এক হজযাত্রী জানান, প্রথমে ফ্লাইট দেওয়া হয়েছিল রাত আড়াইটে নাগাদ। কিন্তু রিপোর্টিং করতে গিয়ে দেখা যায় তা পরিবর্তিত করে পরের কোনও ফ্লাইটে, কিংবা একদিন বা দুদিন পরে দেওয়া হয়েছে। ফলে, সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের ও তাদের সঙ্গে আসা আত্মীয় পরিজনরা। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ, মালদা, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি দূরবর্তী জেলা থেকে যারা আসছেন। এই সমস্ত জেলার হজযাত্রীদের আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ, তারা হজযাত্রীকে বিদায় জানাতে লটবহর সহ এসেছেন। কিন্তু এসে যখন জানতে পারছেন হজের ফ্লাইট পরিবর্তন করে একদিন বা দুদিন পর দেওয়া হচ্ছে তখন তাদের কলকাতায় থাকা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, এই ক্ষেত্রে রাজ্য হজ কমিটির তরফে শুধু হজ যাত্রীকে মদিনাতুল হুজ্জাজের কক্ষে স্থান দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তার সঙ্গে আসা আত্মীয় পরিজনদের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। এ নিয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে আতান্তরে পড়ছেন দূরবর্তী জেলা থেকে আগত হজযাত্রীর সঙ্গী সাথীরা। আরও অভিযোগ, তাদের কোনও কথার উত্তরও দিতে চাইছেন না কর্তব্যরত কর্মীরা। এর সঙ্গে ভিসা সমস্যাও এখনও রয়েছে বলে মদিনাতুল হুজ্জাজ সূত্রে খবর। এমনকি খাদিমুল হুজ্জাজদের ভিসা এখনও রাজ্য হজ কমিটি হাতে পায়নি বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে সৌদি আরবে বাংলার হজযাত্রীদের সেবায় তাদেরকে পাঠানো যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে আপনজন প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির কার্যনির্বাহী আধিকারিক মুহাম্মদ নকিকে ফোন করলে কোনও উত্তর না মেলায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য হজ কমিটির তরফে তাই কোনও প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি। ফলে হাজীরা রাগে ফেটে পড়ছেন মদিনাতুল হুজ্জাজে। এছাড়া, আরও এক কারণে রাজ্যের হজযাত্রীরা েক্ষাভ দেখিয়েছেন। এ ব্যাপারে ভিসা পেতে দেরি হওয়া, শেষ মুহূর্তে হজের উড়ান সূচি পরিবর্তন এবং উড়ান যাত্রার ঠিক আগে যাত্রীদের যাওয়া ও বাদ পড়াকে কেন্দ্র করে শত শত হজযাত্রী কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হজে যাওয়া নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে শুধু ভিসা জনিত সমস্যা নয়, সৌদি আরবে গিয়েও বাংলার হাজিরাও পড়ছেন চরম সমস্যায়। তাদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির অব্যবস্থার ফলে বাংলা থেকে হাজিরা গেলেও খাদিমুল হুজ্জাজরা এখনও মদিনা পৌঁছননি। তার উপর, সেখানে ঘরের ব্যাপক সমস্যায় জেরবার হচ্ছেন। এ ব্যাপারে মদিনায় পৌঁছনো এক হজযাত্রী ও হজ প্রশিক্ষক মুফতি মুজিবর রহমান এক ভয়েস বার্তায় জানিয়েছেন, রাজ্য হজ কমিটির চরম অব্যবস্থার ফলে মদিনায় বাংলার হজযাত্রীরা যে কি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তা কহতব্য নয়। তার অভিযোগ মদিনা শরিফে চরম অব্যবস্থা। বিল্ডিংয়ের জন্য স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। একবার বলছে পাঁচজন বা ছজনের রুম। যারা দুজন বা তিনজন রয়েছেন তাদেরকে পাঁচজন জোগাড় করে নিয়ে আসতে বলছেন। তাই মুজিবর সাহেবের প্রশ্ন, হাজিরা কিভাবে এভাবে জোগাড় করে আনবেন হজযাত্রীদের। আর যদি বা জোগাড় করে আনছেন তাদেরকে ঘর দিতে হয়রানি করা হচ্ছে। আর বরাদ্দকৃত ঘরে বাথরুমে পানির অপ্রতুলতা। কোনও ক্ষেত্রে বালতি কিংবা লোটা থাকছে না। মুজিবর সাহেবের আরও অভিযোগ, সৌদি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি হজযাত্রীকে নুসুক অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। কিন্তু যখনও নাম রেজিস্ট্রেশন করতে যাওয়া হচ্ছে তখন জুন মাস পর্যন্ত ভর্তি দেখাচ্ছে। মুজিবর সাহেব জানান, এই সমস্যার জন্য প্রথমে কেয়ারটেকারের কাছে যাওয়া হয়। তারপর তিনি নিয়ে যান অবজার্ভারের কাছে। তিনি নিয়ে গেলেন ম্যানেজারের কাছে। ম্যানেজার বললেন, আপনাদের টিম লিডার কোথায়। টিম লিডার মানে খাদিমুল হুজ্জাজ। ওই ম্যানেজার এ নিয়ে বলেন, খাদিমুল হুজ্জাজের কাছে যে লিস্ট আছে তা নিয়ে আসুন, চেষ্টা করে দেখব। খাদিমুল হুজ্জাজ প্রসঙ্গে মুজিবর সাহেব জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির কার্যনির্বাহী আধিকারিককে ফোন করে জানিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, এখনও খাদিমুল হুজ্জাজ কেউ যাননি। ’এ নিয়ে হজ প্রশিক্ষক মুজিবর সাহেবের দাবি, আজকে রাজ্যের হাজিদের মদিনায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ প্রতিটি বিমানে হজযাত্রীদের সঙ্গে একজন করে খাদিমুল হুজ্জাজ পাঠানোর কথা। হজ প্রশিক্ষণের সময় সে কথা জানানো হয়েছিল। তাই হজযাত্রীরা এখন তাদেরকেই দোষারোপ করছেন। এ বিষয়ে আরও অভিযোগ, হাজিদের অর্থে খাদিমুল হুজ্জাজ পাঠানো হয়ে থাকে। অথচ, তাদের না আসার কারণে বাংলার হাজিদের মদিনায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর প্রতিবাদ হওযা দরকার বলে তিনি মনে করেন। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির কার্যনির্বাহী আধিকারিক মুহাম্মদ নকি আপনজন সাংবাদিক এম মেহেদী সানিকে ফোনে জানান, “হজ কমিটি আরও একটু সজাগ হলে ভালো হতো। সকলে যখন বুঝতেই পারছে সৌদি আরব থেকে ভিসা নিয়ে টালবাহানা করছে তাহলে যাদের ভিসা হয়েছে কেবল সেই সমস্ত হজযাত্রীদেরকে যদি ডাকতো তাহলে এই সমস্যা হতো না। ”তিনি আরও বলেন, ‘খাদেমুল হুজ্জাজ সব সমস্যার সমাধান নয়। তবে আমাদের খাদেমুল হুজ্জাজ প্রস্তুত। আমরা খাদেমুল হুজ্জাজ পাঠাতে পারিনি, কারণ খাদেমুল হুজ্জাজদের ভিসা আসেনি। ভিসা সমস্যার কারণেই আমরা খাদেমুল হুজ্জাজদেরকে পাঠাতে পারছি না। ভিসা যদি কাল-পরশুর মধ্যেই পেয়ে যাই আমরা খাদিমুল হুজ্জাজদেরকে পাঠিয়ে দেবো। হাজিদের যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে ওখানে ইন্ডিয়ান হজ মিশন অফিস আছে, কনসিল হজ আছে, আমরা আমাদের হজ যাত্রীদেরকে তাদের নাম্বারটা আমরা শেয়ার করেছি। কিন্তু তারা রেসপন্স করছে না। হাজিরা রিয়াজুলজান্না জিয়ারত করতে পারছেন না। অনেক সমস্যা হচ্ছে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু তাদেরকে আমরা সাহায্য করতে পারছি না। ’
অন্যদিকে, ভিসা না পেয়ে নির্দিষ্ট ফ্লাইটে সৌদি যেতে না পারা এক ভুক্তভোগী পূর্ব বর্ধমানের ৬০ বছর বয়সি এক কৃষক। গত ২১ মে সৌদি আরবের মদিনার ফ্লাইট ধরতে কলকাতায় পৌঁছানোর পর তাকে জানানো হয়, সময়মতো ভিসা কর্তৃপক্ষের কাছে না পৌঁছানোয় সফর কয়েক দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তার পরিবর্তিত ফ্লাইট নির্ধারিত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হজযাত্রী বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত দিনে ভিসা সমস্যার জন্য বিমানে উঠতে পারিনি। ’ এই সমস্যার জন্য মূলত দায়ী করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় হজ কমিটির ব্যবস্থাপনাকে। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে ভারতীয় হজ কমিটি ভারতীয়দের হজযাত্রার পুরোপুরি দায়িত্ব নিয়ে থাকে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্য হজ কমিটি রয়েছে যাদের মাধ্যমে সারা দেশে ২৫টি এম্বার্কেশন সেন্টার থেকে হজযাত্রীরা সৌদি অভিমুখে হজযাত্রীরা রওনা হন। প্রতি বছর হাজার হাজার ভারতীয় মুসলমান হজে যান। এ বছর এই সংখ্যা এক লক্ষ ৭৫ হাজার। কেন্দ্রীয় হজ কমিটির অধীনে কাজ করে থাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটির কলকাতা অফিস। কেন্দ্রীয় হজ কমিটির গাফিলতির কারণে রাজ্য হজ কমিটির অফিসে শত শত হজযাত্রী বিমানে ওঠার আগে প্রাসঙ্গিক কাউন্টারগুলি এবং হজ সংক্রান্তকাগজপত্র সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাংলা ছাড়াও বিহার, ঝাড়খন্ড এবং আসামের হজযাত্রীরা কলকাতা বন্দর হয়ে সৌদি পাড়ি দিচ্ছেন। তাই পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির অফিসে কাজের চাপ। ভাষাগত বাধার কারণে অন্য রাজ্যের হজযাত্রীরা যোগাযোগ করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ বছর পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটি প্রায় ১৭,৫০০ হজযাত্রীকে সহায়তা করছে। তাদের কাছ থেকে শত শত অভিযোগ পাওয়ার পরে সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছে। হজ যাত্রীদের সমস্যা নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য হজ কমিটির এক আধিকারিক বলেন,কেন্দ্রীয় হজ কমিটি হজে যাওয়ার জন্য ফ্লাইট বরাদ্দ করার পরেও ১০০ জনেরও বেশি হজযাত্রী সময়মতো ভিসা পাননি। যে হজযাত্রীরা তাদের ফোনে টেক্সট বার্তা পেয়েছেন তারা আমাদের অফিসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা হাত গুটিয়ে বসে আছি। কারণ ভিসা যদি সময়মতো না আসে তাহলে তাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরব ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনার পর সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। গত কয়েক বছর ধরে হজ যাত্রীদের দেখভালে দায়িত্বে থাকা রাজ্য হজ কমিটির এক আধিকারিক জানান, কেন্দ্রীয় হজ কমিটির হজের ফর্ম ঘোষণার সময় থেকেই অব্যবস্থাপনা শুরু হয়েছিল। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হজের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর ফেব্রুয়ারিতে তা ঘোষণা করা হয়। এত অত্যধিক বিলম্বের কারণ জানা না গেলেও হজ যাত্রার প্রক্রিয়াটি অনেক দেরিতে শুরু হওয়ায় পুরো ব্যবস্থাটি বিলম্বিত হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজারের বেশি হজযাত্রী কলকাতা থেকে মদিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বাকি হজযাত্রীরা আগামী ১০ জুন পর্যন্ত সৌদি আরবে তাদের ফ্লাইটে আরোহণ অব্যাহত রাখবেন।
তবে, হজ যাত্রীদের ভিসা জনিত সমস্যা ও উদান পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জানিয়েছে কলকাতা খিলাফত কমিটি। রাজ্যের সংখ্যালঘুদের উন্নতির জন্য কাজ করা শতাব্দী প্রাচীন এই সংগঠন অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণে হজযাত্রীদের হয়রানির বিরুদ্ধে কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে খিলাফত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি চারবার হজে গিয়েছি, কিন্তু এমন অব্যবস্থাপনা কখনও দেখিনি। আমরা হজযাত্রীদের কাছ থেকে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। অনেকেই সময়মতো ভিসা পাননি। ফ্লাইটের তারিখগুলিও পরিবর্তন করা হয়েছে এবং দোষারোপের প্রক্রিয়া চলছে। কেউ সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসছেন না বলে তার অভিযোগ। হজের উড়ান পরিবর্তন প্রসঙ্গে রাজ্য হজ কমিটির আধিকারিক সূত্র জানাচ্ছে, সৌদি বিমান সংস্থা ফ্লাইডিলের অব্যবস্থাপনা মূলত সমস্যার মূলে। তারা অনেক সময় মাত্র চার-পাঁচ ঘন্টা বাকি থাকতে বিমানের সময়সূচী সংশোধন করছে। আরও জানা গেছে, সৌদি আরবভিত্তিক বিমান সংস্থা ফ্লাইডিল কলকাতায় দুই ধরনের বিমান পাঠাচ্ছে, যা প্রতি ট্রিপে ২৯৫ বা ৩২৬ জন যাত্রী বহন করতে পারে। এ বিষয়ে রাজ্য হজ কমিটির এক আধিকারিক বলেন, ফ্লাইডিল বিমান সংস্থা একেবারে শেষ মুহূর্তে বিমানের আসন সংখ্যা অনুযায়ী হজযাত্রীদের বাদ দিতে বা অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছে। এটা খুবই কঠিন কাজ হয়ে পড়ছে। কারণ যাদের নির্দিষ্টি বিমানে ওঠার কথা ছিল তাদের সবাইকে বোর্ডিং পাস আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, বাংলার হজযাত্রীদের আরও অভিযোগ, হজে যেতে মহারাষ্ট্র বা তেলেঙ্গানার মতো অন্যান্য রাজ্যের হজযাত্রীরা যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করেছিলেন তার চেয়ে তাদের তিনটি কিস্তিতে জমা দিতে হয়েছিল ৭০,০০০ টাকা বেশি। একটি সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব জানিয়েছেন যে দেশের ২৫টি অ্যাম্বারকেশন সেন্টারের জন্য পৃথকভাবে পরিচালিত দরপত্রের ফলস্বরূপ এই পরিমাণের পার্থক্য রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct