সম্প্রীতি মোল্লা, কাটোয়া, আপনজন: কাটোয়া শহরে এক বধুর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য পড়লো।গত বৃহস্পতিবার স্বামী কে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে এসে উঠেছিলেন এক বধূ। রাতটি পার হতেই ওই ঘর থেকে উদ্ধার হল বধূর নিথর দেহ।এই ঘটনার পর 'ফেরার' স্বামী । শুক্রবার সকালে কাটোয়ার ঘোষহাট পালপাড়ায় একটি টালির ছাউনি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বছর তিরিশের বধূর মৃতদেহ। গলায় গামছার ফাঁস রয়েছে । বিছানার উপর মুখ গুঁজে পড়ে থাকতে দেখা যায় দেহটি। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে কাটোয়া থানার পুলিশবাহিনী।মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি প্যান কার্ড। তাতে নাম রয়েছে সুমিত্রা পণ্ডিত। প্যানকার্ডটি নিহত বধূরই বলে জানতে পেরেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা মনে করছেন -' বধূকে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই খুন করা হয়েছে'। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ, কাটোয়া শহরের ঘোষহাট পালপাড়া এলাকায় যে ঘর থেকে এদিন দেহটি উদ্ধার হয়েছে ওই ঘরের মালিক গোপাল কোঁয়ার। তিনি জানান, -'আঙ্গুর পণ্ডিত নামে তাদের এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে ওই মহিলা ও সন্টু নামে এক ব্যক্তিকে তিনি ঘরভাড়া দিয়েছিলেন। মাসে একহাজার টাকা ভাড়ার চুক্তি হয়েছিল'।ভাড়াঘরে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া গেছে মৃতদেহ টি। কাটোয়া শহরের পাল পাড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য। অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে স্বামী খুন করেছেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি মালিককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতার নাম সুমিত্রা পণ্ডিত। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যাঁর নাম উঠে আসছে, তিনি হলেন সন্তু পণ্ডিত। তাঁর বাড়ি পূর্বস্থলীর জামালপুরের নিমদহ এলাকায়। প্রাথমিকভাবে প্রশ্ন উঠছিল, নিহত মহিলা কি আদতে সন্তুর স্ত্রী? নাকি তাঁর সঙ্গে অন্য কোনও সম্পর্ক ছিল? পরে জানা যায়, সন্তুর স্ত্রীই সুমিত্রা। তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তার জেরেই খুন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।জানা গেছে,, কাটোয়ার পাল পাড়ার বাসিন্দা আঙ্গুর পণ্ডিতের শ্বশুর বাড়ি পূর্বস্থলীর জামালপুরের নিমদহ এলাকায়। তাঁর সূত্র ধরেই সন্তু পণ্ডিত নামে নিমদহের এক ব্যক্তি কাটোয়া শহরের পাল পাড়ায় গোপাল কোয়ারের বাড়ি ভাড়া নেয়। হাজার টাকার বিনিময়ে বাড়ি ভাড়া নেন তিনি।এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য পড়েছে কাটোয়া শহর জুড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct