এলাকাবাসীদের মনে সন্দেহ তৈরি হচ্ছিল, এলাকায় কিছু একটা ‘ভুল’ কাজ হচ্ছে! বিষয়টিতে তারা নজরে রাখছিল! চারিদিকে দেওয়ার ঘেরা ছোট একটি জায়গায় শুধু গাড়ি নিয়ে কয়েকজনকে ঢুকতে দেখেন তারা। ভেতরে যাওয়ার পর তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় ভিতর থেকে। সম্প্রতি স্থানীয়রা প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকেন। সেখানে গিয়ে দেখতে পান লোকচক্ষুর আড়ালে কাটা হচ্ছে কয়েক সপ্তাহ আগের মরা-গলা বিড়াল-কুকুর। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। একটি গাড়ি আটক করে ভাঙচুর চালায় স্থানীয় জনতা।হাতেনাতে ধরা পড়েন একজন। তিনি জানান, কলকাতা সহ মধ্যমগ্রামের বিভিন্ন হোটেলে, যশোর রোডের দু’ধারের একাধিক রেস্তোরাঁয় কুকুর-বিড়ালের মাংস সরবরাহ করেন তারা। কুকুর-বিড়ালের মাংসকে খাসির মাংস বলে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁতে দেওয়া হতো। ক'দিন আগে চেন্নাইয়ে এগমোর রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে ১১০০ কেজি কুকুরের মাংস উদ্ধার করা হয়। এসব মাংস প্রদেশের বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করা হতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভিয়েতনামের হ্যানয়ের প্রায় ১০০০ দোকানে এখনো কুকুর এবং বিড়ালের মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct