নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: বাবা ইট ভাটার শ্রমিক। মা গৃহবধু।একজনের সামান্য উপার্জনে চলে পরিবার। দারিদ্রতা নিত্য সঙ্গী।দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমে উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইট ভাটা শ্রমিকের ছেলে মহম্মদ তহিদ আলম। তহিদ বাণিজ্য বিভাগে ৯১.৮ শতাংশ নাম্বার নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৯। তহিদের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামে। ভবিষ্যতে তার একজন এমবিএ হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। তবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জীবনে। তবে কি অর্থের অভাবে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না তহিদ?কিভাবেই বা পড়াশোনার খরচ জোগাড় করবেন বাবা!এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবার। তহিদের বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান,সে ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা।তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে।মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে তানবির আলমও পড়াশোনায় মেধাবী। বর্তমানে কলকাতায় এক এনজিওর মাধ্যমে পড়াশোনা করছে। তহিদ ছোট ছেলে। সেও পড়াশোনায় মেধাবী। তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮৯ শতাংশ নাম্বার নিয়ে পাশ করেন।এরপর হরিশ্চন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বানিজ্য বিভাগে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়।উচ্চ মাধ্যমিকেও যথেষ্ট ভালো রেজাল্ট করেছে। ছেলের রেজাল্টে খুশী পরিবার। ছেলের ইচ্ছে এমবিএ হওয়ার। তবে এই সামান্য আয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলেকে পড়াশোনা করানো সম্ভব না।যদি কোন বেসরকারি সংস্থা বা রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়ায় তবেই ছেলের স্বপ্ন পূরণ হবে।তহিদ জানান,বাবার সামান্য আয়ে পড়াশোনার খরচ জোগাড় করা খুবই কষ্টকর। রাজ্য সরকার তার পাশে দাঁড়ালে সে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct