এম মেহেদী সানি, কলকাতা, আপনজন: মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলেও জয়জয়কার রাজ্যের শীর্ষ সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল আমীন মিশনের। উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ যে প্রথম দশ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে তার মধ্যে আল আমীন মিশনের এক শিক্ষার্থী আনজুমা দিলরুবা স্থান পেয়েছে। জানা গিয়েছে এবছর আল আমীন মিশন থেকে ২০৮০ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ এবং তার বেশি নম্বর পেয়েছে ১০ জন শিক্ষার্থী, ৯০ শতাংশ এবং তার বেশি নম্বর পেয়েছে ২৩০ জন শিক্ষার্থী, ৮৫ শতাংশ এবং তার বেশি নম্বর পেয়েছে ৭৬০ জন শিক্ষার্থী। ৮০ শতাংশ এবং তার বেশি নম্বর পেয়েছে ১৩৭৩ জন শিক্ষার্থী, ৭০ শতাংশ এবং তার বেশি নম্বর পেয়েছে ২৮৯৯ জন শিক্ষার্থী। সাফল্যের ব্যাপারে আল আমীন মিশনের কর্ণধার ‘আপনজন’কে জানিয়েছেন আল আমীন মিশনে পড়াশনা করে এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করেছে আনজুমা দিলরুবা।
এই সাফল্য নিয়ে আল আমীন মিশনের সম্পাদক এম নুরুল ইসলাম বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মেধাবী ও গরিব ছাত্রছাত্রী। মূলত সেই সব মেধাবীদের একসূত্রে বেঁধে বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষায় দেওয়ায় ব্রত আল আমীন মিশন। সেই লক্ষ্যকে সফল করে তুলেছে উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতীরা। তবে, ছাত্রছাত্রীদের একনিষ্ঠ পড়াশুনাও কৃতিত্বের ভাগিদার বলে তিনি জানান। তাদের উচ্চশিক্ষায় সবসময় আল আমীন মিশন পাশে থাকবে বলে তিনি অঙ্গীকার করেন। প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মূলত গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের এক মিলন ক্ষেত্রে পরিণত করার যে প্রয়াস আল আমীন মিশন চালিয়ে আসছে নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে, তার সাফল্য ঈর্ষা করার মতো। নদীয়া জেলার তেহট্টে থানার হাঁসপুকুরিয়ার বাসিন্দা আনজুমা দিলরুবা । ৪৮৭ নম্বর পাওয়া দিলরুবা বাংলায় ৯৩, ইংরেজিতে ৯৭, গণিতে ৯৭, পদার্থবিদ্যা ৯৬, রসায়নের ৯৯ এবং জীববিদ্যার ৯৮ নম্বর পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছে।’ আনজুমা দিলরুবা জানায়, আল আমীন মিশনের সেক্রেটারি ‘স্যার’ নুরুল ইসলাম তাকে পঞ্চম শ্রেণি থেকে আর্থিক ছাড় দিয়ে বাবনান ক্যাম্পাসে এবং মাধ্যমিককের পর খলতপুর ক্যাম্পাসে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ায় তবেই এই জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে । নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে থেকে আর্থিক অসচ্ছলতার মধ্যে দিয়েই বেড়ে ওঠা মুদি দোকানদারের মেয়ে দিলরুবার আইআইটিয়ান হতে চাই, পাশাপাশি স্কুল তৈরির ভাবনাও রয়েছে তার। দিলরুবা জানিয়েছে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে আল-আমীন মিশনের পাশে দাঁড়াবে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অসহায় ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যর্থে এগিয়ে আসবে সে । আনজুমা দিলরুবার পাশাপাশি মোস্তাফিজুর রহমান গালিব ৪৮৪, সাবনুর খাতুন ৪৮১, শামীম মন্ডল ৪৮০, শেখ জাবেদ আখতার ৪৭৯ নম্বর পেয়ে আল আমীন মিশনের মুখ উজ্জ্বল করেছে বলে জানা এম নুরুল ইসলাম ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct