আপনজন ডেস্ক: এখন অনেকেই ওজন, ডায়াবেটিস কমাতে হলে ভাতের বদলে রুটি খান। অনেকের ধারণা, ভাতের চেয়ে রুটি অনেক বেশি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার। পুষ্টিবিদরা বলেন, ভাত হল পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে রয়েছে ফোলেট, ভিটামিন বি৩, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার ও কিছুটা পরিমাণে সুগার। এই সব উপাদান দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে ভাত রাখলে কোনও সমস্যা নেই। এই শস্য থেকেই শরীর নিজের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে নেয়। পুষ্টির বিচারে রুটিও কম যায় না। এটি হল ফাইবারের খনি। এ কারণে রুটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই দূর করা যায়। এছাড়া রুটিতে রয়েছে ফোলেট, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম ও কিছুটা পরিমাণ সুগার। তাই রুটি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। সবথেকে বড় কথা, আটার তৈরি রুটিতে শস্যের সব ভাগ রয়েছে। ফলে পুষ্টিগুণের বিচারে এর জুড়ি মেলা ভার। আসলে ভাত ও রুটি দুটিই পুষ্টিগুণে ভরপুর। যার যেটা পছন্দ সেটা খেতে পারেন। অনেকেই ভাবেন ভাত খেলে বোধহয় সুগার বেড়ে যাবে, এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই। রুটি খেলেও যা হয়, ভাত খেলেও তাই। শুধু পরিমাপটা জানতে হবে। ঠিক একই ভাবে ভাত খাওয়ার সঙ্গে ওজন বাড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তাই ভাত ও রুটির মধ্যে যেটা পছন্দ, সেটাই খান। ভাত ও রুটি একসঙ্গে খেলে অনেক সময় মাপের ঠিক থাকে না। মানুষ এই দুই খাবারের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পান না। ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়ে যায়। এই কারণে ওজন ও সুগার দুইই বাড়ে। তাই এই দুই ধরনের খাবার একদমই একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। বরং দুপুরে ভাত ও রাতে রুটি খান।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct