নিজস্ব প্রতিনিধি, বারুইপুর, আপনজন : আগামী তিন মাস বাজি তৈরি ও বাজি মজুদ রাখা ও বাজি বিক্রয় করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বারুইপুর জেলার পুলিশ। বারুইপুর চাম্পাহাটিতে হাড়ালে আতশবাজি অসোসিয়েশনের অফিসে পৌঁছে গিয়ে কড়া বার্তা দেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস ও থানার আইসি বারুইপুর সৌমজিৎ রায়। বারুইপুরের চম্পাহাটিতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এই বাজি ব্যবসা সঙ্গে যুক্ত ।পুলিশি এমনই নির্দেশিকার পর কাজ হারালো প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। চাম্পাহাটিতে হাড়ালে প্রায় ১৫০ টি মতন বাজির দোকান রয়েছে ।সেই দোকান আজকের পর থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। বারুইপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে চম্পাহাটিতে চলছে মাইকিং। রাজ্যে একের পর এক বাজি বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত । বজবজ, মহেশতলার পর এবার মালদহতে বিস্ফোরণে মারা গেছেন ২জন । ইতিমধ্যেই বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তৎপর হয়েছে রাজ্যে পুলিশ প্রশাসন। রাজ্যে যে সকল অবৈধ বাজি কারখানা গুলি রয়েছে,সেই সকল বাজি কারখানা গুলিতে ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে চলছে লাগাতার অভিযান । উদ্ধার হচ্ছে বাজি তৈরীর সরঞ্জাম ও কেজি কেজি বারুদ। গতকাল সোমবার থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম বাজির আঁতুঘর চম্পাহাটি হাড়ালে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২০০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। আগামী তিন মাস বাজি তৈরি ও বাজি মজুদ রাখা ও বাজি বিক্রয় করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বারুইপুর জেলার পুলিশ। বারুইপুর চাম্পাহাটিতে হাড়ালে আতশবাজি অসোসিয়েশনের অফিসে পৌঁছে গিয়ে কড়া বার্তা দেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস ও থানার আইসি বারুইপুর সৌমজিৎ রায়। বারুইপুরের চম্পাহাটিতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এই বাজি ব্যবসা সঙ্গে যুক্ত ।পুলিশি এমনই নির্দেশিকার পর কাজ হারালো প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। চাম্পাহাটিতে হাড়ালে প্রায় ১৫০ টি মতন বাজির দোকান রয়েছে ।সেই দোকান আজকের পর থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। বারুইপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে চম্পাহাটিতে চলছে মাইকিং।শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তিনি বলেন, রাজ্যে একটা বজবজ একটা এগরা মতন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু পুলিশের উচিত নিষিদ্ধ না করে এই স্থায়ী সমাধান সূত্র বার করা। নিষিদ্ধ করার পর লুকিয়ে চুরিয়ে কোথাও কোথাও এই ব্যবসা চলবে। এতে আরও দুর্ঘটনার বেশি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এতগুলো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা বার করতেই হবে। কোন দুর্ঘটনা ঘটার পর পুলিশ অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, দুর্ঘটনার আগে এই ভূমিকা পালন করলে দুর্ঘটনা আর ঘটতো না। বাজি কমিটির প্রাক্তন মুখপাত্র শংকর মন্ডল বলেন, ১৯৯৬ সালের শব্দবাজি নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর, পরিবেশবান্ধব বাজির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বেশ কয়েকজনকে ।সেই পরিবেশ বান্ধব বাজি অনুমোদন পায়। এরপর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারত সরকারের দেওয়া লাইসেন্স নিয়েই বৈধভাবেই ব্যবসা চলছিল চম্পাহাটিতে। এরপর ২০২০ সালের পর থেকে সেই লাইসেন্স আর রিনিউয়াল হচ্ছে না ।ফলে এখন অবৈধ হয়ে গিয়েছে, সমস্ত ব্যবসা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সকল ব্যবসায়ী দায়ী নয়। কিন্তু আইনের নির্দেশ আমাদের মানতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct