সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: ফাজিল (দ্বাদশ সম মান)পরীক্ষায় রাজ্যে নবম ও দশম স্থান অধিকার করেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ের সেখ সাবিরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান মোল্লা। ২০ মে শনিবার প্রকাশিত ফলাফলে ৬০০ নাম্বারের মধ্যে যথাক্রমে ৫৩৮ ও ৫৩৭ পেয়ে নবম ও দশম স্থান পেয়েছেন সাবিরুল ও মিজানুর। ভগবানপুর অঞ্চলের সাতুলিয়া ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দুই পড়ুয়া সাবিরুল ও মিজানুর ভবিষ্যতে আদর্শ শিক্ষক বা অধ্যাপক হতে চান।নবম স্থানাধীকারি শেখ সাবিরুল ইসলাম বাংলা বিষয়ে সর্বাধিক ৯৩ নাম্বার পেয়েছেন। একই বিষয়ে সর্বাধিক ৯৪ নাম্বার পেয়েছেন দশম স্থানাধীকারি মিজানুর রহমান মোল্লা।শেখ সাবিরুল ইসলামের বাড়ি পাওয়ার গ্রিড এলাকার পোলেরহাট ২ নম্বর অঞ্চলের টোনা গ্রামে। বাবা শেখ সিরাজুল ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা সাহানারা খাতুন গৃহবধূ। ৩ ভাই ২ বোনের মধ্যে সাবিরুল ইসলাম তৃতীয়। মিজানুর রহমান মোল্লার বাড়ি ব্যাঁওতা ২ নম্বর অঞ্চলের হাতিশালা গ্রামে। বাবা আলাউদ্দিন মোল্লা পেশায় ছোট একটি হোটেল মালিক। মা জাহানারা বিবি গৃহবধূ। ২ ভাই ৩ বোনের মধ্যে সবার বড় মিজানুর। সাবিরুল ইসলাম আপনজন প্রতিনিধিকে জানান, আমি মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘন্টা পড়াশোনা করে এই সাফল্য পেয়েছি। আমার পড়াশোনা ছাড়া সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন বই পড়তে ভালো লাগে। এই সাফল্যের জন্য আমার পরিবার, মাদ্রাসা শিক্ষক ও গৃহ শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।মিজানুর রহমান আপনজন প্রতিনিধিকে বলেন, আমি বেশিক্ষণ পড়তাম না। মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘন্টা পড়তাম। পড়াশোনা ছাড়া আমার ভালো লাগার বিষয় হল খেলাধুলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা। এই সাফল্য পেতে আমাকে সাহায্য করেছেন আমার পরিবার, মাদ্রাসার শিক্ষক ও টিউশন সেন্টারের শিক্ষকরা। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।সোমবার মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সাবিরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় ও ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা মাদ্রাসার সম্পাদক, প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক শেখ গোলাম মঈন উদ্দিন সহ পরিচালন সমিতির সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct