আব্দুস সামাদ মন্ডল, কলকাতা, আপনজন: চলতি মাসে প্রায় একযুগ পরে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সপ্তম-এসএলএসটি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে আবেদনের শেষ তারিখ ১২ জুন।এদিকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন এনসিটিই এর নিয়ম মেনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বললেও অনেক ক্ষেত্রে এনসিটিই এর নিয়ম মানছে না বলে অভিযোগ প্রশিক্ষণ রত পড়ুয়াদের। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে প্রশিক্ষণ রত (পার্সুইং) পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার জন্য এনসিটিই কে নির্দেশ দেয়, সেইমত কেন্দ্রীয় টেট (সিটেট) গুলোতে প্রশিক্ষণ রত পড়ুয়াদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এর সুবিধা আছে। অন্যদিকে রাজ্যে কয়েক মাস পূর্বে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে প্রশিক্ষণ রত হবু শিক্ষকরা। এতো জ্বলন্ত উদহারন থাকার পরেও কেন পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন প্রশিক্ষণরত হবু শিক্ষকদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছেন? সোমবার বিকাশ ভবনের সামনে এমনটাই অভিযোগ তুলতে দেখা যায় ২০২২-২৪ প্রশিক্ষণরত হবু শিক্ষকদের।এদিন ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম, মোফাস্সেল, জাকারিয়া, আব্দুর রহিম, সাহিনুজ্জামান, ওয়াসিম আকরাম,উসমান আলী, আহসান আলী, একরামুল, ইয়ানুর, শামীম রেজা সহ প্রমুখ। এদিন আপনজন পত্রিকার সাংবাদিককে তারা জানান, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছে। ছয়শত-র অধিক মাদ্রাসায় প্রকাশিত শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ১৮০০ যা খুবই সামান্য, সুতরাং এই শূন্য পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। পরীক্ষার পাঠ্যসূচি এখনো পর্যন্ত প্রকাশ করেনি সার্ভিস কমিশন ফলে হতাশা গ্রস্থ হবু শিক্ষকরা, সুতরাং অতিদ্রুত সিলেবাস প্রকাশ করতে হবে। অন্যদিকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক এর কথা উল্লেখ আছে, নেগেটিভ মার্ক তুলে দিতে হবে দাবি একাংশের। প্রকাশিত গেজেটে যোগ্যতার মানদণ্ডে ডিগ্রি গুলো রাখা হয়েছে তা অস্পষ্ট, পুনরায় নোটিফিকেশানের মাধ্যমে টার্ম গুলো পরিস্কার করতে হবে বলে তাদের দাবি।যদিও সোমবার সার্ভিস কমিশন এ্যরাবিক এমএম কে শুধু মাত্র আরবী ডিগ্রিতে রূপান্তর করে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেন। একজন ব্যক্তির একাধীক পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা থাকার পরেও তাকে একটা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হচ্ছে। বরং একজন ব্যক্তি একের অধিক পদে আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে বলে দাবিও তুলছে উক্ত ছাত্ররা। তারা আরোও জানান মাদ্রাসায় বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের ধোঁয়াশা কাটাতে হবে, তাদের দাবি আরবী, থিওলোজি ও ইসলামিক স্টাডিজ এর জন্য পৃথক পৃথক শূন্যপদ প্রকাশ করতে হবে যাতে করে সহজে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বোধগম্য হয়ে ওঠে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct