সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম সেখ, বীরভূম, আপনজন: রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু সেখ খুনের প্রতিশোধ নিতেই অগ্নিসংযোগ সহকারে দশজন ব্যাক্তির পুড়িয়ে মারার প্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। সেই থেকে ঘটনার তদন্ত ভার নিয়েও রাজ্য কেন্দ্রের মধ্যে চলে টানাপোড়েন। শেষ পর্যন্ত তদন্তের ভার গ্রহণ করেন সিবিআই। আসামীদের ধরপাকড়ের পাশাপাশি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সেইরকমই বগটুই অগ্নিসংযোগের মূল অভিযুক্ত লালন সেখ দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর গত ৩ রা ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পাকুড় থেকে সিবিআই তাকে গ্রেফতার করে। পরদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে সিবিআই পর পর দুদফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়। হেফাজতে থাকাকালীন গত ১২ ই ডিসেম্বর শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সিবিআই এর উপর আস্থা হারিয়ে সিআইডি তদন্তের দাবি তোলেন লালন সেখ এর স্ত্রী রেশমা বিবি। সেই মোতাবেক সিবিআই হেফাজতে মৃত লালন সেখ এর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডি। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে লালনের মৃত্যুর তদন্তে গত ১ লা মে সাতজন সদস্যের সিট গঠন করা হয়। বুধবার তাদের প্রতিনিধিরা রামপুরহাট সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্পে আসেন। এবং লালন শেখের যেখানে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই সাথে সীল করা বাড়ি সহ অন্যান্য জায়গা ঘুরে তদন্তের কাজ শুরু করেন বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য সিবিআই হেফাজতে লালন সেখ এর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বগটুই গ্রামে গিয়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct