বিশেষ প্রতিনিধি, উলুবেড়িয়া, আপনজন: ফের কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার হাওড়া গ্রামীণ জেলার উলুবেড়িয়া থানার কুলগাছিয়ার চণ্ডীপুর এলাকায়! নিজের মা’য়ের মৃতদেহ আগলে বসে রয়েছে ছোট ছেলে। মৃতদেহ থেকে নির্গত পচা,দুর্গন্ধে অতিষ্ট উঠেছিল এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় উলুবেড়িয়া থানায়। স্থানীয়রা গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে হাজির হয় ওই বাড়িতে। পরে পুলিশ এসে ছাদের চিলে কোঠা টপকে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃত মহিলার নাম আরতী বাগ(৭২)। চণ্ডীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চণ্ডীপুর-মানিকপুর এলাকায় পচা, দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু কোনও একটি নির্দিষ্ট বাড়ির ভিতর থেকেই এই দুর্গন্ধ নির্গত হচ্ছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে খবর দেওয়া হয় উলুবেড়িয়া থানায়। এরপর ঐ বাড়িতেই এসে পৌঁছায় উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। জানা গেছে,
মৃত মহিলা চণ্ডীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অবসরপ্রাপ্ত নার্সিং স্টাফ। স্থানীয়রা বাড়ির কাছে এসে ডাকাডাকির পরেও বাড়িতে থেকে কেউই বের হননি। দরজাও খোলেননি। ততক্ষণে খবর দেওয়া হয় উলুবেড়িয়া থানার পুলিশকে। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ এসে ছাদের কার্নিশ ধরে,চিলে কোঠা টপকে ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে দেখা যায় সৌমেন বাগ ঘরে বসে রয়েছেন। মেঝেতে পড়ে রয়েছে তার মা আরতী বাগের(৭২) পচা গলা দেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমেন বাগ এবং তাঁর মা আরতী বাগ দুজনেই অসুস্থ ছিলেন। স্থানীয় বাদিন্দারা জানিয়েছেন,সৌমেন বাগ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। আরতী-র দুই ছেলে রয়েছে। বর্তমানে বড়ছেলে সুকান্ত বাগ বিবাহিত। আলাদা থাকেন। ছোট ছেলে সৌমেন বাগ মা’য়ের সাথে থাকেন। জানা গেছে দুই ছেলেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সৌমেন বাগ-এর দাদা সুকান্ত বাগ বলেন, “আমি মাঝে মধ্যে খোঁজ খবর নিতাম। রোজ মায়ের ঘরে আসা সম্ভব হত না। কয়েকদিন আগেও এসেছিলাম। তখন কেউ দরজা খোলেননি। তাই চলে যাই। কিন্তু তখনও বুঝিনি এমন কিছু হবে। আমারও সংসার আছে। সবসময় খোঁজ রাখা সম্ভবও হয় না। আজ শুনি এমন ঘটনা ঘটেছে।” গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct